লিহান লিমা: মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিয়ানমারে ইরানের রাষ্ট্রদূত মহসেন মোহাম্মদী। ইরানের বার্তা সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
কয়েক দশক ধরে চলে আসা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা ২০১৫ সাল থেকে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর ফলে দেশটির ১১ থেকে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা সামরিক অভিযানের শিকার হয়ে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়, যার মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে।
মহসেন বলেন, ‘এই সমস্যার মূলোৎপাটন করা না হলে এটি চলতেই থাকবে এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবসন আলোর মুখ দেখবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘বেশিরভাগ রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমারে স্বইচ্ছায় ফেরত যেতে চায় না। তারা নিরাপত্তাহীনতা, শাস্তি ও বৌদ্ধসহ চরমপন্থীদের আক্রমণের ভয় পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যত একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের নাগরিকত্বের অধিকার এবং স্বচ্ছলভাবে জীবন-যাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
নভেম্বরে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে হওয়া চুক্তির আওতায় মঙ্গলবার থেকে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফেরত যেতে শুরু করবে। যদিও বেশিরভাগ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যেতে যায় না। এদিকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, কাউকেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যাবে না। এএফপি।
আপনার মতামত লিখুন :