ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান : সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, জাতীয় জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমিসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বিশেষায়িত ধরনের। সাধারণ বা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ এ ধরনের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানসমূহকে যুগোপযোগী ও দক্ষতার সহিত করে পরিচালনা করতে সক্ষম নন বলে আমি মনে করি। প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো জনবান্ধব, বেগবান ও গতিশীল করার লক্ষ্যে এবং দেশে সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মকান্ডের জন্য পৃথক ক্যাডার গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ ন্যাশনাল লাইব্রেরি মিলনায়তনে বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র আয়োজিত ২য় গ্রন্থ প্রদান অনুষ্ঠান ও ‘বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চায় গবেষণা গ্রন্থ সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ভারতীয় হাই কমিশনের কাউন্সিলর ও ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক শ্রীমতী জয়শ্রী কুন্ডু এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বুলবুল আহমেদ।
প্রধান অতিথি বলেন, ড. এনামুল হকের নেতৃত্বে বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই। এটিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন পৃথক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। তবে প্রতিষ্ঠানটির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় জাদুঘর ও পাবলিক লাইব্রেরি কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক বলয়ের মধ্যে জমি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পাবলিক লাইব্রেরির বহুতল ভবন নির্মাণ ও জাতীয় জাদুঘরের সম্প্রসারণ এলাকার মধ্যে আইসিএসবিএ প্রতিষ্ঠানটিকে কিভাবে জায়গা দেয়া যায়, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র (আইসিএসবিএ) এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহবুব আলম। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন আইসিএসবিএ‘র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এনামুল হক।
আপনার মতামত লিখুন :