আনন্দ মোস্তফা: সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা জাতিসংঘের কার্যালয়গুলোতে নারী কর্মীদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়তে দিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই তথ্য।
জাতিসংঘের কয়েক ডজন সাবেক কর্মী সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, বৈশ্বিক সংস্থাটিতে নিরবতার সংস্কৃতি রয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগের দোহাই দিয়ে ভুক্তভোগীকে দমিয়ে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি কখনও কখনও অভিযোগ অবজ্ঞা করে অপরাধীদের দায়মুক্তিও দেওয়া হয়েছে।
গার্ডিয়ান ভুক্তভোগী ১৫জন নারীর সাক্ষাতকার নেয় যারা বিগত ৫ বছরের মধ্যে জাতিসংঘের কোনো না কোনো কার্যালয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। এসব নারীদের অভিযোগের মধ্যে কটূক্তি থেকে শুরু করে ধর্ষণ পর্যন্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন লিখিত অভিযোগ দেন কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি।
কর্মরত অবস্থায় সুপারভাইজারের কাছে নির্যাতিত ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের এক পরামর্শক গার্ডিয়ানকে জানান, ‘অভিযোগ করলে আপনার জাতিসংঘে আপনার ক্যারিয়ার একেবারেই শেষ, বিশেষ করে আপনি যদি পরামর্শক হন।’
১০টিরও বেশি দেশে কর্মরত সংস্থাটির কর্মীরা এসব অভিযোগ করেছেন। ভিন্ন দফতরে কাজ করা তিন নারী জানিয়েছেন, যৌন হয়রানি বা হামলার বিষয়ে অভিযোগ করার পর তাদেরকে অব্যাহতি চাইতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি চাকরিচ্যুত করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগে অভিযুক্তরা এখনও স্বপদে কাজ করছেন। এদের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এক নারী গার্ডিয়ানের কাছে দাবি করেছেন, প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মরত অবস্থায় ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার হন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিচার পাওয়ার কোনও উপায় নেই। আর আমি আমার চাকরিটাও হারিয়েছি।’
জাতিসংঘের বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর এসকল অভিযোগ কিছুটা স্বীকার করছে সংস্থাটি। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গার্ডিয়ানকে জানান, 'যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ বিষয়ে আমাদের নীতি লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সেগুলো তদন্ত করে দেখছি। গার্ডিয়ান
আপনার মতামত লিখুন :