শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:৪৮ সকাল
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট সুবিধা পাওয়ার  একটা প্রক্রিয়া: আফসান চৌধুরী

মারুফ হাসান নাসিম : স্বাধীনতার পর পরই এই দুই নাম্বারি শুরু হয়েছিল। ৫০০ টাকায়, ১০০০ টাকায় এই সার্টিফিকেট পাওয়া যেত। আমার জানা মতেই অনেকে আছে যারা এই সার্টিফিকেট দিয়ে তাদের পদোন্নতি করেছে। অনেকেই আছে যারা কোটা সুবিধার মাধ্যমে চাকরিসহ বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু এদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই, মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটেরও কোনো সম্পর্ক নেই। এটা আওয়ামী লীগ আর বিএনপির সুবিধা বন্টনের একটা মাধ্যম । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এটা হয়ে আওয়ামী লীগের সার্টিফিকেট হয়ে যায় আর বিএনপির সময় বিএনপির সার্টিফিকেট হয়ে যায়।
এর সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেটের বয়স বারো বছর ছয় মাস করার বিষয় নিয়ে আলাপকালে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী আমাদের অর্থনীতিকে এই সব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার কোন উদ্দেশ্যে তের বছর থেকে বারো বছর ছয় মাস করেছে তা তারাই ভালো জানে। তবে এখন মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স বারো বছর ছয় মাস থেকে গণনা করার কি প্রয়োজন হলো তা পরিষ্কার করা উচিত তাদের। মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সবচেয়ে বড় একটা বিষয় হলো, নয় মাসের একটা যুদ্ধের সার্টিফিকেটের তালিকা বানাতে যদি ৪৭ বছর লাগে তখন বুঝতে হবে, এখানে একটা বড় ঝামেলা আছে।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধারা সুবিধা পাচ্ছে না তবে কিছু মুক্তিযোদ্ধারা তো সুবিধা পাচ্ছে। কারা সুবিধা পাচ্ছে এটা দেখার বিষয়। এদের কি আদৌও সুবিধার প্রয়োজন আছে? এই সুবিধাগুলো পাচ্ছে আমাদের দেশের এমপি, মন্ত্রী, সচিব এবং বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আদৌও মুক্তিযোদ্ধা না। তার মানে মুক্তিযুদ্ধের কোনো মর্যদা নেই এবং মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটেরও কোনো মর্যদা নেই এদের কাছে। সবাই জানে এটা একটা দূর্নীতির মাধ্যম। কেউ যদি ভালো অবস্থানে থাকে সে কখনোই এই সার্টিফিকেট আনতে যাবে না। আমার পরিবারের পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে দুইজনই সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তারা কেউই এই সার্টিফিকেট নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ১৭ বা ১৮ বছর। কিন্তু আমার সমবয়সী যত বন্ধু আছে তাদের অধিকাংশই এই সার্টিফিকেট নেয় নি।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে আমার একেবারেই কোনো আগ্রহ নেই। সার্টিফিকেট দিয়ে কিছু গরিব মানুষের সুবিধা হওয়া উচিত। যারা গরিব এবং বয়স্ক মানুষের জন্য ঠিক আছে তারা ভাতা আর কিছু সুবিধা পাবে। কিন্তু বড়লোকরা এতো মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিবে কেন? তবে অনেক বড়লোক আছে যারা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নেয়নি। এটা সুবিধা পাওয়ার একটা প্রক্রিয়া হয়ে গেছে। এটা যদি গরিব মানুষের জন্য হয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই।

সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়