তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধারা সুবিধা পাচ্ছে না তবে কিছু মুক্তিযোদ্ধারা তো সুবিধা পাচ্ছে। কারা সুবিধা পাচ্ছে এটা দেখার বিষয়। এদের কি আদৌও সুবিধার প্রয়োজন আছে? এই সুবিধাগুলো পাচ্ছে আমাদের দেশের এমপি, মন্ত্রী, সচিব এবং বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আদৌও মুক্তিযোদ্ধা না। তার মানে মুক্তিযুদ্ধের কোনো মর্যদা নেই এবং মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটেরও কোনো মর্যদা নেই এদের কাছে। সবাই জানে এটা একটা দূর্নীতির মাধ্যম। কেউ যদি ভালো অবস্থানে থাকে সে কখনোই এই সার্টিফিকেট আনতে যাবে না। আমার পরিবারের পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে দুইজনই সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তারা কেউই এই সার্টিফিকেট নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ১৭ বা ১৮ বছর। কিন্তু আমার সমবয়সী যত বন্ধু আছে তাদের অধিকাংশই এই সার্টিফিকেট নেয় নি।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে আমার একেবারেই কোনো আগ্রহ নেই। সার্টিফিকেট দিয়ে কিছু গরিব মানুষের সুবিধা হওয়া উচিত। যারা গরিব এবং বয়স্ক মানুষের জন্য ঠিক আছে তারা ভাতা আর কিছু সুবিধা পাবে। কিন্তু বড়লোকরা এতো মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিবে কেন? তবে অনেক বড়লোক আছে যারা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নেয়নি। এটা সুবিধা পাওয়ার একটা প্রক্রিয়া হয়ে গেছে। এটা যদি গরিব মানুষের জন্য হয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
আপনার মতামত লিখুন :