শিরোনাম
◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৬:৩৯ সকাল
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৬:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অস্ত্র প্রতিযোগিতার মার্কিন সিদ্ধান্ত বিশ্বকে ‘ঠাণ্ডা যুদ্ধের’ যুগে ফিরিয়ে নেবে : আলী রীয়াজ

হ্যাপী আক্তার : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস সন্ত্রাস দমনের পরিবর্তে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলেছেন তা দেশটি অনুসরণ করলে বিশ্ব ফের ‘স্নায়ু যুদ্ধ’ বা ‘ঠাণ্ডা যুদ্ধে’র যুগে ফিরে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, নতুন মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতি একধরনের বিরুপ প্রভাব ফেলবে অর্থনীতিতে। সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কমে যাবে। অন্যান্য দেশে একদিকে যেমন মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে চীন ও রাশিয়ার মত প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সামরিক খরচ। অধ্যাপক রিয়াজ বলেন, যুদ্ধ সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। কারণ যারাই বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হতে চাইবে তারা সামরিক বিষয়টির দিকে নজর দেবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান অবকাঠামোর ক্ষেত্রে বড় একটি দায়ভার বহন করতে হবে। এই অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি যেভাবে দেখছে এবং যেভাবে প্রতিরক্ষা নীতি বর্ণনা করা হচ্ছে তাতে করে শক্তির ওপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যে প্রক্রিয়অ সেদিক থেকে সরে এসেছে দেশটি। কিন্তু সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বচ্ছতা প্রকাশ করেনি। সন্ত্রাস কেন সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো মোকাবেলা করা বা কূটনৈতিক মোকাবেলার একটা প্রচেষ্টা আর থাকবে না। শক্তি প্রয়োগের চিন্তাটাই বড় হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে নতুন প্রস্তাবিত সামরিক নীতিতে চীন ও রাশিয়াকে হুমকি বলছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই তাদের সাথে পাল্লা দেবার কথা বলা হয়েছে। আবার অন্য দিকে চীনের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সীদ্ধান্তকে চীন ও রাশিয়া কিভাবে দেখতে পারে?

জবাবে তিনি বলেন, প্রথমতো যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কৌশল এই সিদ্ধান্তকে আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। চীন ও রাশিয়াকে নতুন করে শত্রু বা প্রতিপক্ষ চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেটা একদিকে সংঘাত ও টানাপড়েন বাড়বে। দেশগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক থাকবে তবে সংঘর্ষে জড়িয়ে যাবে। বিষয়টি উদ্বেগের।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সরিয়ে নিলে তার মিত্রশগুলোতে কি ধরণের প্রভাব পড়বে?

জবাবে তিনি বলেন, যে সমস্ত দেশ সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে কিভাবে নেবে তা প্রশ্নের বাইরে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যাদের সম্পর্ক আছে তা নতুনভাবে নির্ধারণ করতে গিয়ে যা হবে, তা হচ্ছে এসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি আরো বাড়বে। এটি বিপদের আশংকা তৈরি করছে। সংকটগুলো আস্তে আস্তে তৈরি হবে। টানাপড়েন এবং অস্থিরতা দেশগুলোতে একধরনের যুদ্ধের আশংঙ্কাও তৈরি করতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়