আবু সাঈদ খান : প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন ক্ষমতাসীনদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পেশিশক্তির লালন করা হচ্ছে। যারা ক্ষমতায় আসে, তারা এই দায় এড়াতে পারে না। যেই দলই ক্ষমতায় যায়, তাদের নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলে যায়। বিএনপির সময় তাদের কতৃত্বে ছিল, এখন আওয়ামী লীগের কতৃত্বে আছে। যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশানো ভালোভাবে হয় না। সেখানে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক গোলযোগ লেগে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে, ক্যাম্পাসের দখলদার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদেরকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
এখানে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজনৈতিক কতৃপক্ষগুলোর আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে এগুলো হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্র সংগঠনগুলোকে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছে। যে কারণে তারা বিভিন্ন সময় অপকর্ম করার সুযোগ পায়। তাদের কোনো অপকর্ম বা কোনো ধরনের দাঙ্গা হাঙ্গামার নিউজ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর তারা হামলা চালায়। রাজনৈতিক শক্তি তাদের পিছনে থাকার কারণে তারা এই সকল অপকর্ম করে পাড় পেয়ে যায়।
তাদেরকে কোনো অপরাধের জন্য গ্রেফতার কার হয় না। শাস্তি দেওয়া হয় না। কখনো কখনো দু-একজন গ্রেফতার হলেও তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হয়। এগুলো আমরা অতীতে দেখে এসেছি। এখনো দেখছি। এই কালচার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ নিবেন বলে আমি আশা করি। যারা এমন অন্যায় করবে বা কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি করবে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবেন। যেন আর কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের অন্যায় করার সাহস না পায়।
পিরিচিতি : সিনিয়র সাংবাদিক
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :