জাফর আহমদ : তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য ১৬ হাজার টাকা ন্যুনতম মজুরি দাবি করেছেন শ্রমিক নেতারা। তারা বলেন, সর্বশেষ ২০১৩ সালের ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক মজুরি ঘোষণার পর জীবন নির্বাহের খরচ বৃদ্ধি, অন্যখাতের ন্যুনতম মজুরি বৃদ্ধির হার এবং পোশাক খাতের সক্ষমতার উপর নির্ভর করে এ দাবি করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যুনতম মজুরি নির্ধারিত হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। ৩ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে এ মজুরি নির্ধারিত হয়। বৃদ্ধির হার প্রায় ৭৬ শতাংশ। নেতাদের দাবি, সে সময়ই শ্রমিকদের জীবনমানের কথা বিবেচনা করে মজুরি নির্ধারণ হয়নি। এরপর ২০১৩ সাল থেকে ৪ বছরে প্রায় ২৫ শতাংশ মুল্যস্ফীতি হয়েছে। ফলে বর্তমান বোর্ডে মজুরি নির্ধারণে স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চারজনের একটি পরিবারের জন্য কমপক্ষে ১৬ হাজার টাকা দরকার। অর্থনীতিবিদরাও এ দাবি সমর্থন করেন।
এ ব্যাপারে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে আমরা বেসিক মজুরি ১০ হাজার টাকা এবং মোট ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা দাবি করেছি। ২০১৩ সালের পর বাড়িভাড়া, গাড়ীভাড়াসহ সব ধরনের ব্যয় বেড়েছে। এ অবস্থায় শ্রমিকদের এ দাবি খুবই যৌক্তিক।
ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব তৌহিদুল রহমান বলেন, আইন অনুযায়ী বাবা-মা’র ভরণ পোষণের দায় নিতে হবে সন্তানকে। এ কথা বিবেচনা করলে শ্রমিকদের মজুরি ১৯ হাজার টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু শিল্পের সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে আমরা ন্যুনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা দাবি করেছি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি সভাপতি বাবুল আক্তার, তৈরি পোশাক শিল্পের গতবছরগুলোতে মজুরি বৃদ্ধির হার, আগামীতে কবে মজুরি কার্যকর হবে সে সময়, বাজার মূল্য, সরকারি খাতের নিম্নতম মজুরি হার, শিল্প খাতের সক্ষমতা ও মূল্যবৃদ্ধির হারের উপর নির্ভর করে আমরা ১৬ হাজার টাকা দাবি করছি। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম
আপনার মতামত লিখুন :