শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮, ১০:২২ দুপুর
আপডেট : ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮, ১০:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লোকসানের গ্যাঁড়াকলে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল

ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চিনিকলগুলোয় উৎপাদন খরচ আকাশচুম্বী। এসব চিনিকলে প্রতিকিলোগ্রাম চিনি উৎপাদনে খরচ হয় ১৩৩ থেকে ৩২৫ টাকা। বিক্রি করা হয় মাত্র ৬০ টাকায়। এ অবস্থায় বর্তমানে চিনি খাতে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোকসান রয়েছে। মূলত বেসরকারিভাবে উৎপাদিত চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারদরের তুলনায় চিনি উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় নিয়মিত লোকসান দিতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। সম্প্রতি ৫০ হাজার টন চিনি আমদানি করা হয়েছে।

বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫ চিনিকলে ৬০ হাজার টন চিনি উৎপাদিত হয়। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টন। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম খরচ হয় জামালপুরের বিরবাংলা সুগার মিল। বিরবাংলা সুগার মিলের চিনি প্রতিকেজি উৎপাদন খরচ ১৩৩ টাকা। আর সবচেয়ে বেশি খরচ হয় কুষ্টিয়া সুগার মিলে। এখানে কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ ৩২৫ টাকা প্রায়। এ ছাড়া পাবনা সুগার মিলে ২৯২, রংপুরের মহিমাগঞ্জ সুগার মিলে ২৮৬, ফরিদপুর সুগার মিলে ২৮১, রাজশাহী সুগার মিলে ২১৮ ও কেরু অ্যান্ড কোং সুগার মিলে প্রতিকেজি চিনির উৎপাদন খরচ হয় ১৮৬ টাকা।

যদিও বর্তমানে বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকায়। বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়ার পরও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসব কারখানায় স্থানীয় চিনির চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। যার প্রধান কারণ দুর্নীতি, আখ স্বল্পতা ও সরকারকে ব্যক্তি খাত থেকে চিনি কিনতে বাধ্য করা।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তথ্যমতে, দেশে চিনি খাতে পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। দেশে প্রতিবছর চিনির চাহিদা প্রায় ১৫-১৬ লাখ টন। সরকারি চিনিকলগুলোয় গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে উৎপাদন হয় এক লাখ ২৮ হাজার ২৬৮ টন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৭৭ হাজার ৪৫০ টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫৮ হাজার ২১৯ টন এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫৯ হাজার ৯৮৪ টন, বিক্রি ২৩ হাজার ২৮৪ টন।

বিএসএফআইসির সচিব এবিএম আরশাদ হোসেন বলেন, আমাদের অধীনে অধিকাংশ মিলের চাহিদা অনুযায়ী কাঁচামালের (আখ) ঘাটতির কারণে আমরা তা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছি। এ ছাড়া একটি চিনিকলের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ২০ বছর। আমাদের অধীনে চিনিকলগুলো ৪০ থেকে ৮০ বছর আগে স্থাপিত, যার কারণে সঠিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, সম্প্রতি নর্থবেঙ্গল ও ঠাকুরগাঁও নামে দুটি চিনিকল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, এর মাধ্যমে আবার সরকারি পর্যায়ের চিনি উৎপাদন বাড়বে।
এ ছাড়া আখের বদলে সুগার বিট নামে নতুন এক ফসল দিয়ে চিনি উৎপাদনের প্রক্রিয়াও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।

বর্তমানে বিএসএফআইসির অধীনে ১৫ চিনিকল রয়েছে। যেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বছরে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৪০ টন। এই মিলগুলোর মধ্যে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড বছরে সামান্য মুনাফা করে। যদিও এ মিলে প্রতিকেজি চিনির উৎপাদন খরচ ১৮৬ টাকা। গত অর্থবছরে কেরুর চিনি ইউনিটে ৪৩ কোটি টাকা লোকসান হলেও ডিস্টিলারি ইউনিট ৫৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়