পরাগ মাঝি : টানা তিন বছরের অসহনীয় খরার পর প্রায় পানিশূন্য চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত শহর কেপটাউন। শহরটিতে যে পরিমান পানির মজুদ আছে তা দিয়ে চলবে বড়জোর আর মাত্র ৯০ দিন। তারপরই বলা যায়, বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে একেবারে পানিশূন্য হতে চলেছে কেপটাউন। শহরটির মেয়র প্যাট্রিসিয়া ডি লিলি এক সতর্ক বার্তায় বলেছেন, বাসিন্দারা যদি পানি ব্যবহারে অত্যধিক কৃপণ না হন, তবে টেপগুলো শুকিয়ে যেতে আর বেশি দিন লাগবেনা।
জানা গেছে, কেপটাউনে ২ শতাধিক পানি মজুদখানা আছে। এসব মজুদখানা থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫ লিটার পানি সংগ্রহ করতে পারেন কোন বাসিন্দা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এসব মজুদখানা সবসময় অস্ত্রধারী সেনাদের পাহারায় থাকে। তবে, কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অন্য এলাকা থেকে পানি পরিবহন করে কেপটাউনে চড়া মূল্যে বিক্রি করার পরিকল্পনাও করছে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে শহরের বাসিন্দাদের উপর পানি ব্যবহারে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, ২ মিনিটের বেশি সময় ধরে কেউ গোসল করতে পারবেনা, বাগান পরিচর্যা এবং গাড়ি ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, নিতান্ত প্রয়োজন না হলে কেউ টয়লেটের পর ফ্লাশ করতে পারবেনা। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফররত ভারতীয় ক্রিকেট টিমও এসব নীতিমালার আওতায় ছিলো। কেপটাউন অবস্থানকালে খেলোয়াড়দের দু’মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসলে সতর্ক করা হয়। এমনকি নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় ধরে গোসল করলে জরিমানারও ভয় দেখানো হয়।
জানা গেছে, কেপটাউনে বসবাসকারী কেউ যদি ৮৭ লিটারের বেশি পানি ব্যবহার করে তবে তাকে বাড়তি প্রতি লিটারের জন্য যে পরিমান জরিমানা গুনতে হবে বাংলাদেশী টাকায় তা প্রায় ৬৭ হাজার টাকা। টাইম
আপনার মতামত লিখুন :