জান্নাতুল ফেরদৌসী: চট্টগ্রাম আদালতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ দীর্ঘ দিন থেকেই বিচারকশুন্য। বিচারকের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই ২ আদালতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মামলা ঝুলে আছে। বিচারক না থাকায় নতুন দিন ধার্য করা ছাড়া অন্য কোনো কাজ নেই বললেই চলে এই ট্রাইব্যুনাল গুলোতে। এতে বিচার প্রক্রিয়া যেমন প্রলম্বিত হচ্ছে তেমনি বিচার প্রার্থীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সূত্র: একাত্তর টিভি
বিউটি বেগম নামে এক গৃহিণী প্রায় ২০ কিলোমিটার দূর থেকে নিয়মিত হাজিরা দিতে আসেন আদালতে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক না থাকায় মামলার অগ্রগতি নেই। এই ট্রাইব্যুনালে ১ বছর যাবৎ কোনো বিচারক নেই।
চট্টগ্রামের ৮টি উপজেলার বিচার প্রার্থীরা নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ দীর্ঘ দিন যাবৎ বিচারক শুন্য থাকার কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
আদালত না বসায় এই ট্রাইব্যুনালগুলোতে সাক্ষী হাজির করতে পারছেনা পুলিশ।
আইন বিশেষজ্ঞ ও রাষ্ট্রীয় কৌশলীরা বলছেন, বিচারক না থাকায় বিচার শেষ হতে যেমন সময় লাগে তেমনি বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় হতাশা। এর সঙ্গে মামলা চালানোর খরচ বাড়ে। যেহেতু এই ট্রাইব্যুনালের মূল উদ্দেশ্যে হলো দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত বিচারক নিয়োগ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন।