আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী : খন্দকার আলমগীর হোসাইন : উন্ন্য়ন ও মেগা প্রজেক্টের নামে যে মেগা দুর্নীতি হয়েছে সেটা আইয়ুব খানের যে উন্ন্য়ন তার সাথে তাদের মিল পাওয়া যায়। গণতন্ত্র হরণ করে উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে প্রতারণার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আইয়ুব খান মানুষের সব ধরনের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, গণতন্ত্র হরণ করে। গণতন্ত্রের নামে একটা মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেছিল। ক্ষমতা থেকে যাওয়ার কিছু দিন আগে তার উন্নয়নের একটি বড় ধরনের মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন করে জাতির সামনে উপস্থ্াপন করেছিল।
আইয়ুব খানের সে উপস্থাপনার পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছি। তেমনি শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন মেলার পর তার বিদায়ের পালা চলে আসছে। একেবারে সরাসরি আইয়ুব খানের সাথে আজকের প্রধানমন্ত্রীর কোনো ব্যবধান নেই। জনগণের সবকিছু কেড়ে নিয়ে উন্নয়নের কথা বলে জনগণকে অন্য দিকে ধাবিত করার যে চেষ্টা করছে, সেটা জনগণ সহ্য করছে, কারণ তাদের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে সব পরিসংখানগুলো প্রশ্নবিদ্ধ অর্থাৎ দেশ কোথায় গেছে পরিসংখান পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ সঠিকভাবে পাচ্ছে না। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার যে পরিসংখানগুলো দিয়েছে এই পরিসংখানগুলো বিশেষ যোগ্যতা হারিয়েছে। পরিসংখান দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখান বুরে্যা, তাও সঠিক না।
অতীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই কিন্তু সরকারের পতন হয়েছে। মার্শাল ল বিলুপ্ত হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। কিন্তু আজকে যে পেক্ষাপট সৃষ্টি করেছে। এই ধরনের পেক্ষাপট কিন্তু বাংলাদেশে কখনো ছিল না। নির্বাহী, বিচার, সংসদ এই তিনটি বিভাগই আজ ধ্বংস করা হয়েছে। সংসদ বলতে তো কিছুই নাই। প্রথমত এটা অনির্বাচিত একটা সংসদ কিন্তু তার সাথে সাথে বিরোদীদলও নেই।
আপনার মতামত লিখুন :