আহমেদ ইসমাম : এই বিপুলসংখ্যক ছাত্রকে আরবি ভাষা ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে তারা মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে। এতে করে আমাদের বেকার সমস্যা কিছুটা হলেও দূর হবে। সরকার বর্তমানে গ্রামে কারিগরি শিক্ষা চালু করতে চাচ্ছে, মাদ্রাসার মাধ্যমে যদি চালু করা যায়, তবে বিষয়টা খুব সহজ হয়। মাদ্রাসাকেই কারিগরি শিক্ষায় রূপান্তর করে ফেলতে হবে। এতে করে তারা আরবি ভাষায় কথা বলতে পারবে। অপর দিকে টিভি, ফ্রিজ, এসি ঠিক করা শিখতে পারবে, তাদের দক্ষতার ফলেই তারা উন্নত কাজ পাবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শিক্ষাবিদ ড. মীজানুর রহমান এই সব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আন্দোলনরত মাদ্রাসার শিক্ষকদের দাবি যদি সরকার বিবেচনায় নেয়, তবে ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি আরবি ভাষা ও কারিগরি শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির বিধান রেখে তাদের দাবি সরকার মেনে নিতে পারে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মাদ্রাসার ছাত্ররা আরবি ভাষা জানে না। এই দুইটা বিষয় ভালোভাবে চালু হলে আমাদের দেশে দক্ষ জনবল তৈরি হবে। এখন আমাদের দেশে দক্ষ জনবল সংকট চলছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে টিভি, ফ্রিজ, এসি ঠিক করতে পারে এমন হাজার হাজার শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। আমরা যদি এক সাথেই আরবি ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারি, তবে তাদের জন্য সৌদি আরবে কাজ করা অনেক সহজ হবে। বর্তমানে যারা যাচ্ছে তারা বেশির ভাগই অদক্ষ, তাদের কোনো কারিগরি শিক্ষা নেই। এতে করে তারা ওখানে ভালোভাবে কাজ করতে পারে না, যার ফলে নানা দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
আপনার মতামত লিখুন :