এল আর বাদল : আগের দিন টাইগার নেতা মাশরাফি বলেছিলেন, আমাদের জিততে হবে জিম্বাবুয়ে আর ওই দলের কোচ আমাদের সাবেক গুরু হিথ স্ট্রিকের বিরুদ্ধে। মাশরাফি শুধু কথাই রাখলেন না, রীতিমত জিম্বাবুয়েকে শুইয়ে দিলেন মিরপুর মাঠে। খেলা শেষে অবাক বিস্ময়ে হিথ স্ট্রিক তাকিয়ে রইলেন মাশরাফির দিকে। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী দিনে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে শুভ সূচনা করে লাল-সবুজের দল। এই জয়ে বাংলাদেশ দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে শক্ত প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচেও মাশরাফিদের লড়তে হবে আরেক গুরু চন্ডিকা হাথুরু সিংহের বিরুদ্ধে।
এদিন মাশরাফি টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। সফরকারীদের দেয়া ১৭১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮.৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৮৪ রান করে করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সাকিব আল হাসান করেন ৩৭ রান। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ১৪ রান করে। জিম্বাবুয়ের পে সিকান্দার রাজা ২টি উইকেট নেন।
বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিকান্দার রাজার বলে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক বিজয়। ১৪ বল খেলে ১৯ রান করেন তিনি।
এরপর ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ৭৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ২০তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। সাকিব করেন ৩৭ রান। পরে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে ১৭০ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের পে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন সিকান্দার রাজা। আর বাংলাদেশের পে সাকিব আল হাসান ৩টি, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১টি, সানজামুল ইসলাম ১টি, মুস্তাফিজুর রহমান ২টি ও রুবেল হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সাকিব আল হাসান
আপনার মতামত লিখুন :