ইসমাঈল হুসাইন ইমু : মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শিগগিরই শুরু হবে বলে দুদকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, শ্রীনগর এলাকার দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন জাহিদুল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পরই শ্রীনগর উপজেলার পুরানো হিন্দু জমিদার বাড়ি নিজ গাড়ি চালকের লিজ নিয়ে সেগুন কাঠের পুরনো দরজা জানালা ও অন্যান্য আসবাব পত্র বিক্রি করে দেন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পাকিজা গার্ডেন-এর মালিকের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। উপজেলার ষোল ঘর এলাকার ওয়ান্ডারল্যান্ডের মালিক উপজেলার আটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জিএম মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে তার ম্যানেজার দিদারের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেন।
শ্রীনগর উপজেলার ইউএনও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে প্রকাশিত পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার বেজগাঁও গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন নামের এক মুক্তিযোদ্ধার ভাতা শ্রীনগর বেজগাঁও নামে উত্তোলন করিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইয়াছমিন দেলোয়ার হাসপাতালের এমডি দেলোয়ার হোসেনের ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন। ষোলঘর ইউপি ভবন করিয়ে দেয়ার নাম করে ১০লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পিআইও এর মাধ্যমে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি পদ্মাসেতু প্রকল্পের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে ক্ষতিপুরণ পাইয়ে দেয়ার নাম করে এবং জমি অধিগ্রহণ করা হুমকি দিয়ে এবং অধিগ্রহন করা হবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, অভিযোগ জমা পড়েছে, কমিশন বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবে।
আপনার মতামত লিখুন :