তৌহিদুর রহমান নিটল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শহরসহ আশেপাশে বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজার গুলোতে পুরোদমে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের ক্ষেতে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন সবজি। বিশেষ করে নদীমাতৃক নবীনগর, নাসিরনগর ও সরাইলের বেশ কিছু এলাকায় শীতকালীন সবজির উৎপাদন চোখে পড়ার মত ।
এরমধ্যে রয়েছে, ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, লাউ, শীম এই জাতীয় সবজি ছাড়াও নানা জাতীয় রবিশস্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উৎপাদিত শীতকালীন শাকসবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, শীতকালীন উৎপাদিত সবজির কারণে বন্যার ক্ষতিও কাটিয়ে উঠতে পারবে হাওড় অঞ্চলের কৃষকরা।
সরজমিনে দেখা যায়, পৌষ-মাঘ মাসের প্রচন্ড শীতে কুয়াশা সিক্ত ভোরেই ঘর থেকে বেরহচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। নেমে পড়ছেন উৎপাদিত সবজি বাজারে পাঠানো সহ জমির পরিচর্যা করার জন্য। এখানকার উৎপাদিত সবজি বাজার থেকে বড় হাট আর হাট থেকে চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সিলেটের সবজির বড় বড় মোকামগুলোতে।
কৃষকরা বলছেন, শীতকালীন শাকসবজি আবাদের কারণে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। এখন মোটামুটি রবিশস্যের বাজারটা যে দামে আছে তাতে সুন্দরভাবে কৃষক বেঁচে থাকতে পারবে। কথা হয় শীতকালীন সবজি চাষী নরুমিয়া, ইদরিস আলী ও কাসেম মিয়ার সাথে তারা বলেন, আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় বেশ কয়েকটি উপজেলায় শীতকালীন আবহাওয়া মৌসুমি রবিশস্যের উৎপাদনের উপযোগী হওয়ায় এবং শীতের তীব্রতা কোয়াশার পরিমাণ বেশি থাকায় শীত কালীন সবজি চাষ বেশ ভাল হচ্ছে। টমেটো ও ফুলকপি, বাধাকপি ও শীম এর বামপার ফলন হচ্ছে। প্রতি এককানী জমিতে এসব সবজি করতে ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বজার দর ভাল থাকায় তা ২৫/৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাচ্ছে। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কৃষি বিভাগ বলছে, এবারে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীত কালীন সবজির বেশ ভাল ফলন হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। কৃষকের জমিতে পরিচর্যার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।