শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:১০ সকাল
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দূরপাল্লার ২০০ বাস নামাচ্ছে বিআরটিসি

ডেস্ক রিপোর্ট : দূরপাল্লার ২০০ বাস নামানোর লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। আগামী জুন নাগাদ রাস্তায় নামা এসব বাসের মধ্যে ১০০টি এসি ও ১০০টি নন-এসি। এর বাইরে আরো ৩০০ ডাবল ডেকার ও ১০০টি এসি সিটি বাস চালু করারও পরিকল্পনা রয়েছে বিআরটিসির। ভারতীয় অর্থায়নে এসব বাস কেনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বণিক বার্তার তথ্যমতে, বাসগুলো কিনতে ব্যয় হবে ৫৮১ কোটি টাকা। ৬০০ বাস কেনার এ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়। আরেকটি প্রকল্পের অধীনে ২১৭ কোটি টাকায় কেনা হবে ৫০০ ট্রাক। এ দুই প্রকল্পে ৫৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেবে ভারত। বাকি অর্থের জোগান দেবে সরকার।

প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, দূরপাল্লার প্রতিটি এসি বাস কিনতে ব্যয় হবে ৭৬ লাখ টাকা। আর নন-এসিগুলোর দাম পড়বে প্রতিটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া প্রতিটি ডাবল ডেকার বাস ক্রয়ে ব্যয় হবে ৭৯ লাখ ও এসি সিটি বাসের জন্য ৭৫ লাখ টাকা। এসব বাসের আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১২ বছর।

বর্তমানে ১৫০টি আন্তঃজেলা রুটে বাস পরিচালনা করছে বিআরটিসি। ৩৩ জেলায় চলছে ৪০৬টি বাস। ভারতের অশোক লেল্যান্ড ও টাটা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ুর এসব বাসের বেশির ভাগেরই আসন প্লাস্টিকের। একটির সঙ্গে আরেকটি আসনের দূরত্বও অনেক কম। এ ধরনের বাস দূরপাল্লায় চলাচলের অনুপযোগী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘যেসব বাস দূরপাল্লায় চলাচল করে, সেগুলোয় অবশ্যই আরামদায়ক আসনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। পাশাপাশি একটি আসনের সঙ্গে আরেকটির প্রয়োজনীয় দূরত্বও রাখতে হবে। তা না হলে ৫-৭ ঘণ্টা বা তার বেশি ভ্রমণ করা যাত্রীদের পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।’

বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিআরটিসির কর্মকর্তারাও। তারা বলছেন, আসনের বিষয়টি মাথায় রেখেই বাসগুলো কেনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। দূরপাল্লায় যেসব বাস চলবে, সেগুলোয় ফোল্ডিং সুবিধাসংবলিত আরামদায়ক আসন রাখা হবে। পাশাপাশি ইন্টারনেট সুবিধাও থাকবে এসব বাসে। এর বাইরে বিআরটিসির বাস ব্যবহারকারীদের জন্য ‘বিআরটিসি অ্যাপ’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালুর প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের সঙ্গে আলোচনা চলছে। অ্যাপটি ব্যবহার করে যাত্রীরা বাসের অবস্থান, নিকটস্থ বাস কাউন্টারসহ যাত্রীসেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।

বিষয়টি সম্পর্কে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, বাসগুলো কেনার দরপত্র প্রক্রিয়া চলমান। যেখান থেকেই বাসগুলো কেনা হোক না কেন, স্বস্তিদায়ক আসনের বিষয়টি নিশ্চিত করেই কেনা হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়