শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:৫৯ রাত
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন সমীকরণে বিজিএমইএ নির্বাচন

আরিফুর রহমান তুহিন: তৈরি পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর নেতা নির্বাচনে নতুন সমিকরণ তৈরি হয়েছে। প্রধান ২ প্রতিদন্ধী সমঝোতার মাধ্যমে সভাপতিসহ সকল পদে নেতা মনোনিত করেছিলেন। কিন্তু ডিজাইন টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে স্বাধীনতা পরিষদ নামে নুতন আরেকটি প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে ভেস্তে যেতে চলছে সমঝোতার কমিটি তৈরির প্রক্রিয়া। এখন চলছে জাহাঙ্গিরের সাথে সমঝোতার চেষ্টা।

বিজিএমইএ সূত্র জানায়, এতদিন বিজিএমইএ নির্বাচনে ব্যাবসায়ী ঐক্য পরিষদ ও ব্যবসায়ী ফোরাম নামে ২টি প্যানেল প্রতিদন্ধীতা করেছে। ২০১৫ সালে বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি ও পরিষদ নেতা প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের উপস্থিতিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত বছর পরিষদ থেকে সভাপতি ও চারটি সহ-সভাপতিসহ কিছু পরিচালক নির্বাচিত হয়। বাকিগুলো ফোরাম পায়। এবারের নির্বাচনে সভাপতিসহ আগের নির্বাচনে পরিষদের পদগুলো ফোরাম ও ফোরামের পদগুলো পরিষদ পাওয়ার কথা ছিলো। এর পর থেকে ২ প্যানেল এক হয়ে যাবে।

সূত্র জানায়, বিজিএমইর এই দুই প্যানেলের অনেকেই চুক্তির এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না। ফলে তারা বিকল্প পথ খুঁজছিলো। এছাড়া বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানও পরিষদ থেকে আবারো সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন, এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সিদ্দিকের দাবির বিপক্ষে বাকি নেতারা অবস্থান নিলে তিনি পিছু হটেন। যদিও সিদ্দিকুর রহমান এই প্রতিবেদকের কাছে সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি এখন বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশেষ সভার মাধ্যমে বাড়তি ৬ মাসের জন্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ফোরাম ও পরিষদ নেতারা বলছেন, তাদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ঘটাতেই একটি মহল জাহাঙ্গীরকে ব্যবহার করছেন। তবে জাহাঙ্গির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

সূত্র আরো জানায়, ইতিমধ্যে জাহাঙ্গীরের সাথে সমঝোতা করতে ফোরাম ও পরিষদ নেতারা কয়েকদফা আলোচনা করেছেন। শনিবারও তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। দুই প্যানেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, আলোচনা একটি মাধ্যম মাত্র। তবে তারা শুধুমাত্র জাহাঙ্গীরকেই প্রধান্য দিচ্ছেন। পরিচালক বানিয়ে তাকে যদি নির্বাচন থেকে বিরত রাখা যায় তাহলে তারা সমঝোতা করবেন। তবে জাহাঙ্গীর আরো ২টি পরিচালক পদ চান বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে স্বাধীনতা পরিষদ নেতা জাহাঙ্গির জানান, তার সাথে পরিষদ ও ফোরাম নেতারা আলোচনা করেছেন। তবে সমঝোতা হলেও তিনি নির্বাচনের মাধ্যমেই পদ-পদবী নিবেন। তার একটাই দাবি নির্বাচন।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী ফোরামের অন্যতম নেতা ও চুক্তি অনুযায়ী আগামি বিজিএমইএ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গির প্রতিদন্ধিতা করতে চাইলে করবে। তিনি এতে বিচলিত নন। এই সংকটের পিছনে কেউ কলকাঠি নেড়েও থাকে তা তাকে রুখতে পারবে না। ফোরাম ও পরিষদের সকল নেতারা চুক্তি অনুযায়ী তার সাথেই আছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়