মতিনুজ্জামান মিটু : ‘সারা বছর সবজি চাষে, পুষ্টি-স্বাস্থ্য অর্থ আসে’ এই প্রতিপাদ্যে ১০৪ প্রকারের সবজি নিয়ে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চত্বরে শুরু হয়েছে তিনদিনের জাতীয় সবজি মেলা’২০১৮। রোববার(১৪ জানুয়ারি) প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলা উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। অতিথিরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এই মেলায় অংশগ্রহনকারি ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের ৮২টি ষ্টল ও ৪টি প্যাভেলিয়ন ঘুরে দেখেন।
এর আগে কেআইবি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘পরিবর্তিত জলবায়ুতে পুষ্টি নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচনে বছরব্যাপী নিরাপদ সবজি চাষ’ বিষয়ক সেমিনার। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ্। সেমিনারের নির্ধারিত বিষয়ে বক্তব্য দেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ। আলোচনা করেন, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাসেম ও শেরেবাংলা কৃষিবিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ব বিভাগের প্রফেসর মো. রুহুল আমিন।
স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল আজিজ। এদিন সকালে মেলা উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য র্যালী জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শুরু এবং কেআইবি চত্বরে এসে শেষ হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহারে মানুষের জীবনের অতি প্রয়োজনীয় সবজিসহ খাদ্য বিষাক্ত হচ্ছে। তাই নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহার করা যাবেনা। সামুদ্রিক শৈবাল সবজি হিসেবে জনপ্রিয়। বাংলাদেশে এর চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দুই মেয়াদ ছাড়াও ৯৬ সালে দেশ কৃষিতে অনেক এগিয়েছে। সবজি মানুষের জন্য শ্রষ্টার বিশেষ নিয়ামত। বানিজ্যিকভাবে অধিক সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানী করতে পারলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, জলে স্থল অন্তরিক্ষ কোথাও বাদ যাবেনা। হাওয়ায় সবজি করা গেলে আমরা তাতেও যাব। সম্ভব হলে ব্যাবিলনের মতো শূণ্যে উদ্যান করে সবজি চাষ হবে। নিরাপদ ও মান সম্মত খাদ্য উৎপাদনে মেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সবজি খেয়েও বিশ্বের অনেক মানুষ সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকান। সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ্ বলেন, গুড এগ্রিকালচারাল প্রাকটিচের মাধ্যমে বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত সবজি উৎপাদন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :