ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতিটি ঘরে গিয়ে বসবাসকারীদের জন্মসনদ পরীক্ষা করে দেখবে সরকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেজ প্রকল্পের গণনাকারীরা প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে কোন বাসায় কতজন থাকেন এবং কার ব্যাকগ্রাউন্ড কী তা জানবেন। একাজে তাদের সহযোগিতা করবেন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। এ সময় প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মসনদ গণনাকারীকে দেখাতে হবে।
এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো একটি চিঠি ইস্যু করেছে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের মোট ২৫টি জেলায় প্রতিটি থানা থেকে এ তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। খবর পরিবর্তন ডটকম’র।
এ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য ইসলামি ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রতিটি মসজিদের ইমামদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামি ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরো আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা এ ধরনের কাজে সহায়তার জন্য মসজিদগুলোতে একটা সার্কুলার দিয়েছি, মানুষ যাতে তাদের সহযোগিতা করে।
সাধারণ এসব নাগরিকদের কাছে কী ধরনের তথ্য আপনারা নিতে চান- এমন প্রশ্নের জবাবে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এটা পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাজ, তারা যে ধরণের তথ্য নিতে চায় নেবে। আমরা তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করব। এ বিষয়ে নাগরিকদের আতঙ্কের কিছু নেই।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভাষ্যমতে, এর আগে প্রথম দফায় রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জেলাসহ মোট ১৭টি জেলায় এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির উপকারভোগী বাছাই আরো স্বচ্ছ ও সহজতর হবে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ণ পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেজ (এনএইচডি) প্রকল্পের পরিচালক মো. আমীর হোসেন বলেন, সারাদেশের প্রতিটি থানা থেকে পর্যায়ক্রমে সকল নাগরিকের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হবে। এ তথ্য ভাণ্ডারে প্রতিটি নাগরিকের আর্থসামাজিক অবস্থানের আলোকে শ্রেণীবিণ্যাস করা হবে।
পরিবর্তন ডটকম’র প্রতিবেদনে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও সেক্টরগুলো নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার আগে এই তথ্য ভাণ্ডার থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নেবেন। অনেক সময় নাগরিকের নানা সুযোগ সুবিধা বণ্টনে মিসিংয়ের ঘটনা ঘটে তা ঠেকাতেও এ তথ্য ভাণ্ডার অনেক বেশি কাজ দেবে।
এটি কি আদমশুমারীর কাজের অংশ নাকি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে এ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর হোসেন বলেন, এটা কোনো আদমশুমারি নয়। এটি আলাদা করে প্রতিটি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য থেকে টেকনোলজি ইউজ করে একটি স্কোর কার্ড করা হচ্ছে যা বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় নিতে পারেন এবং চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এখান থেকে তথ্য নিতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :