শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:৪০ সকাল
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচন নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বিএনপি

তারেক : আগামী একাদশ নির্বাচনে ‘যাওয়া-না যাওয়া’ নিয়ে কঠোর অবস্থানের দিকে এগোচ্ছে বিএনপি ও এর মিত্র দলগুলো। তাদের শীর্ষ নেত্রী খালেদা জিয়ার ১৪টি মামলা বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করায় বিএনপিসহ তাদের জোটকে ‘এমন অবস্থানের’ দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে মনে করে এ দল ও জোটের নেতাকর্মীরা। যেদিন বিশেষ আদালতে মামলাগুলো স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, সেদিন ৮ জানুয়ারি সোমবার রাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ‘তাদের শীর্ষ নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা।’ বৈঠকটি গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত। এতে খালেদা জিয়া সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকটিতে এসব মামলা নিয়ে অনেকক্ষণ আলাপ করার পরই ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে।

বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে আগে থেকেই দুটি মামলা যেমন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা চলছে। এ দুটি মামলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসে কিংবা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই দুটি মামলার রায় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের প্রথম দিকে একাদশ জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। ঠিক এ মুহূর্তেই আরো ১৪টি মামলা স্থানান্তর করাতে একে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে বিএনপি, যদিও সরকারের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ১৪ মামলা বিশেষ আদালতে স্থানান্তরের কারণ ‘নিরাপত্তা’। রাজনৈতিক হয়রানি করার জন্য মামলাগুলো স্থানান্তর করা হয়নি বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা আরো ১৪টি মামলা রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত আদালতের বিশেষ এজলাসে স্থানান্তর করা হয়েছে। ৮ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে সই করেন যুগ্মসচিব বিকাশ কুমার সাহা।

আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থান সংকুলান না হওয়া ও নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো স্থানান্তর করা হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২-এ বিচারাধীন শাহবাগ থানার একটি মামলা [মামলা নং- ৫৩(২)০৮] ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পরিচালিত হলেও ভবনটিতে আরো অসংখ্য মামলার কাজ চলে। ফলে জনাকীর্ণ এ ভবনে নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়ার মামলাটি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। একই কারণ দেখিয়ে তেজগাঁও থানার ২০(১২)০৭ নম্বর, ৫(৯)০৭ নম্বর, ১৫(০৮)১১ নম্বর ও দুদকের করা রমনা থানার ৮(৭)০৮ নম্বর মামলার কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়।

এ ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দারুসসালাম থানার ৬২(১)১৫ নম্বর, ৩(৩)১৫ নম্বর, ৮(২)১৫, ৫(২)১৫, ৬(২)১৫, ৩১(২)১৫, ১২(২)১৫ ও ২৯(২)১৫ এবং যাত্রাবাড়ী থানায় করা বিশেষ মামলা ৫৯(১)১৫ বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, মহানগর হাকিম আদালতে (আদালত-৭) বিচারাধীন পিটিশন মামলা ১০৯৬/১৬ ও ১১০/১৫-এর বিচার কাজ এতদিন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ভবনে চলছিল। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মামলা দুটির কার্যক্রম বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করা হলো।

দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে দলীয় সরকারের অধীনে হওয়ায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও জোটসঙ্গী দলসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৫৪ জন, সংবিধান অনুযায়ী যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা একটি সরকার গঠনে প্রয়োজন হয়। ওই নির্বাচনে জনগণ অংশ নেয়নি বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল। তবে বিএনপি ২০১৬ সালের শেষ দিকে এসে দাবি তোলে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের। সে বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া সেখানে এ দাবিও ছিল যে, নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের কাজে নির্মোহভাবে সহায়তা করতে একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রয়োজন। তার শিগগিরই এ সরকারের একটি রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করবে। তবে ২০১৭ সাল চলে গেলেও এ সরকারের রূপরেখার প্রস্তাব আনেনি বিএনপি। খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফেরার পর নতুন করে আবার দলনিরপেক্ষ সরকারের দাবি তোলা হয়। তিনি ৭ নভেম্বর উপলক্ষে ১২ নভেম্বর আয়োজিত সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে স্পষ্ট করেই বলে দেন যে, দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা। এ ছাড়া জনসভার আগে ও পরে স্থায়ী কমিটির বৈঠক, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মণ্ডলীর বৈঠক, ভাইস চেয়ারম্যানদের বৈঠকে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে ৮ জানুয়ারি নতুন করে কঠোর অবস্থানে যেতে দেখা গেছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটকে। তারা খালেদা জিয়ার ১৪ মামলা বিশেষ আদালতে স্থানান্তরকে ‘দূরভিসন্ধীমূলক’ আখ্যায়িত করে খালেদা জিয়াকে ‘মাইনাস’ করে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না জানিয়ে দেয়। তারা মনে করছে, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই আগের দুটি মামলাসহ ১৪টি মামলা স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) মহাসচিব মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০ দলীয় জোট নেত্রীর মামলা স্থানান্তরের বিষয় নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, হঠাৎ করে মামলা স্থানান্তরে সরকারের অসৎ কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্য হলো, খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায় সরকার। তাই খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক বলুন, সহায়ক সরকার বলুন আর দলনিরপেক্ষ সরকার বলুন- তা আমাদের কাছে ম্যাটার করে না।

তিনি বলেন, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, খালেদা জিয়া ছাড়া ২০ দল কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, এই ১৪ মামলায় হাজিরা দিতে দিতেই বছর পার হবে খালেদা জিয়ার। তারা হিসেব করে দেখেছেন, যে দুটি মামলা এখন বিশেষ আদালতে চলমান রয়েছে, তাতেই প্রতি সপ্তাহে হাজিরা দিতে হয় খালেদা জিয়াকে। তাই তাদের অনুমান, ১৪ মামলার কাজ শুরু হলে সারা বছরেই খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থিত থাকায় ব্যস্ত থাকতে হবে। সংগঠনের কাজ বা নির্বাচনের কাজ তেমনভাবে তার পক্ষে করা সম্ভব হবে না। বিএনপি চেয়ারপার্সনকে নিবাচনী কাজ থেকে ‘সুকৌশলে’ বাইরে রাখতেই সরকার এমন আয়োজন করেছে বলে অনুমান বিএনপি নেতাদের। তা ছাড়া এসব মামলার ‘রায়’ যদি বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তাদের নেত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অযোগ্য হয়ে যাবেন বলে তাদের ধারণা।

অবশ্য তাদের দলের অন্যতম নীতিনির্ধারক সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘রায় হলেও এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব। আপিল করলে আমাদের নেত্রী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারে।’

তবে মওদুদের কথায় অতটা আশ্বস্ত হতে পারছে না নেতাকর্মীরা। কারণ, এর আগে খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের শহীদ মঈনুল রোডের বাড়ির মামলায় ‘ভালোই অভিজ্ঞতা’ আছে তাদের।

এমতাবস্থায় ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক থেকে ‘কঠিন এই সিদ্ধান্তটি’ আসল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হওয়ায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছিল তারা। এবার দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
তবে খালেদা জিয়ার মামলা বিশেষ আদালতে ‘স্থানান্তর’কে রাজনৈতিক হয়রানির জন্য নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি ৮ জানুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই খালেদা জিয়ার মামলাগুলো বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

এর কারণ হিসেবে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় তিন-চারশ’ লোক নিয়ে যান। এতে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনে বিঘœ সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই আদালতে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মামলার বিচার চলছে। এখানে কোনো তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না। মামলাগুলো ৫-৬ বছর ধরে চলছে। খালেদা জিয়ার কোনো মামলাই দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই।

তবে বিএনপি আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে অনেকটা ‘ছেলে ভুলানো’ ধরনের বলে মনে করে। তাদের নেতারা বলেন, এসব মামলা এখন একজন বিচারকের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই এসব মামলা স্থানান্তরে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্য মানতে নারাজ বিএনপি। দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকেও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তারাও তাই মনে করেন যে, মামলাগুলোর স্থানান্তরে সরকারের অবশ্যই একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

এ জন্য বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট খালেদা জিয়ার মামলা মোকাবিলা করতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিরোধও গড়ে তুলতে চায়। এক্ষেত্রে আগে পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরে রাজপথে কর্মসূচি দেয়ার পক্ষে তারা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা দুটি শেষ না হতেই আরো ১৪টি মামলা বকশীবাজারে সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে নেয়ার সমালোচনা করলেও এর পেছনে সরকারের কী উদ্দেশ্য তা বুঝতে সময় নিচ্ছে বিএনপি ও এর মিত্রদলগুলো। দলটির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার মামলা বিশেষ আদালতে নেয়ার মানেই হচ্ছে, তাকে হয়রানি করা। এ কারণে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির প্রচারণা স্তিমিত করতেই চেয়ারপার্সনের মামলাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলাহ আল নোমান বলেন, ম্যাডামের বিরুদ্ধে মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরাও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করছি। আর আইনি লড়াইও রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন না। নতুন এই মামলাগুলো নিয়েও রাজনৈতিকভাবে আমরা মোকাবিলা করব।
তিনি বলেন, একটা উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার আলাদা আদালতে নিয়ে গেছে। রাজনৈতিকভাবেই এর নিরসন করা হবে। আদালত ও রাজপথে, উভয়ভাবেই মোকাবিলা করব।

রাজপথে কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মসূচি আসবে। কিন্তু সময় করে, আরো পর্যবেক্ষণ করে। যা করণীয়, তাই করব আমরা। মানবকণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়