শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:১৯ রাত
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২০ বছরের বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাট হস্তান্তরে গড়িমসি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৯৭ সালে মোহাম্মাদপুর "এফ ব্লকে" মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষদের আবাসন সংকট নিরসনে সরকারের সহজ কিস্তিতে বরাদ্দ দেয়া ফ্ল্যাট জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ গত ২০ বছরে বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাট হস্তান্তরে গড়িমসি ও হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে ফ্ল্যাটের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে শর্ত ভঙ্গ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্চে মোহাম্মাদপুর " এফ ব্লকে" ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নিম্ন ও মাধ্যম আয়ের আবাসন সংকটের কথা বিবেচনা করে মোহাম্মাদপুর "এফ ব্লকে" বিভিন্ন আকারে প্লট প্রতি ১.৫০ (১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকায় বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গৃহ সংস্থান অধিদপ্তর আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আমরা স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকজন যথাযথ জামানতসহ আবেদন পত্র দাখিল করি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও জাতীয় গৃহায়ন অধিদপ্তর এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেনি। ২০০১ সালে ক্ষমতার পালা বদলে পরবর্তী সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনিহা প্রকাশ করে। ২০০৯ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ক্ষেত্রে অধিক সংখ্যক আবাসন সুবিধার্থে প্লটের পরিবর্তিতে বহুতল ভবন নির্মণ করে ফ্ল্যাট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই অনুযায়ী জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালে আবেদনকারীদের নিকট হইতে ফ্ল্যাটের সম্মতি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তখন সিঁড়ি লিফট ও লবির জন্য আলাদা করে কোনো মূল্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিলনা।

বক্তারা বলেন, সবশেষে আবেদনপত্রগুলো যাচাই বাছায় করে লটারির মাধ্যমে ৯০০ জন আবেদনকারীকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ফ্ল্যাটের জন্য বরাদ্দ প্রদান করেন। কিন্তু ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ভবন সমাপ্তির পথে। বাকিগুলো কাজ একেবারে বন্ধ। ভবনগুলোর কাজ কবে সমাপ্ত হবে তাও অনিশ্চিত। আবার ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি যে, ফ্ল্যাটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এফ ব্লকে ৯০০ আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প ২০০৬ সালে অনুমোদন হয়। তখন ৮০০ বর্গফুটের (সব মিলিয়ে ১১৯০) ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট ১ হাজার ৫৯৬ টাকা হিসাবে ১৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। আর ১ হাজার বর্গফুটের (সব মিলিয়ে ১৩৯০) ফ্ল্যাটের দাম ধরা হয় ১৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। কিন্তু ২০০৯ সালে ৮০০ বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম বাড়িয়ে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ১০০০ বর্গফুটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গ্রাহকেরা ওই বছর পর্যন্ত সেই দরেই তিন-চারটি কিস্তির টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি এফ ব্লক প্রকল্পকারীদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয় ৮০০ ও ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের দাম হবে ৪ হাজার ৬০০ টাকা। তার ফলে ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম পড়বে ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর ১০০০ বর্গফুটের মোট দাম হবে ৬৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। তার বাইরে গাড়ি পার্কিং বাবদ আরো ৪ লাখ টাকা দিতে হবে।

ফ্ল্যাটের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় ফ্ল্যাট হস্তান্তর, বরাদ্দ গ্রাহকদের নিকট হতে অতিরিক্ত ব্যায়, মূল্য আদায়ের ষড়যন্ত্র বন্ধ, পিপিআর মোতাবেক জামানত, বিশেষ জামানত এবং এ যাবত প্রদানকৃত চলতি বিলের প্রতিটি ধাপ পরিক্ষা করার দাবি জানান বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মাদপুর (এ ব্লক) ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতির আহবায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান সেলিম, মো. আতাউর রহমানসহ শতশত ফ্ল্যাট মালিকরা অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়