শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:৩৪ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বৈদেশিক মুদ্রার চাপ বাড়বে অর্থনীতিতে

জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরতা থাকবে প্রায় ৯২ শতাংশ। যা
২০৪০-এ গিয়ে দাঁড়াবে শতভাগে। অথচ, সেই বছর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা ৬০ হাজার মেগাওয়াট। এটি করলে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার চাপ নিতে হবে অর্থনীতিকে।

যেটা ভবিষ্যতের জন্য বড় বিপদজনক হয়ে পড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আর নিয়ে উন্নত দেশগুলোর উদাহরণ টানা হলেও, সে যুক্তিকে একেবারেই খোঁড়া বলছেন কেউ কেউ।

বিশাল আকারের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র নিয়ে দাঁড়িয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ হাব আশুগঞ্জ। যেখানে শতভাগ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দেশীয় গ্যাস। কিন্তু, ধীরে ধীরে চাপ এবং সরবরাহ কমতে থাকায়, উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ করতে হিমশিম খেতে হয় প্রায়ই। বন্ধ রাখতে হয় কোনো কোনো কেন্দ্রও।

আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ হাব ঘিরে গ্যাস সরবরাহের প্রত্যাশা থাকলেও, অন্য কেন্দ্রগুলোর ভবিষ্যত আটকে আমদানি করা জ্বালানিতে।

কিন্তু তারপরও এই এলাকা ঘিরেই, ভবিষ্যতের জন্য নেয়া হচ্ছে গ্যাসভিত্তিক আরো বড় বড় প্রকল্প।

গ্যাস খাতের মহাপরিকল্পনা বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের জ্বালানিতে বিদেশি নির্ভরতা থাকবে প্রায় ৯২ শতাংশ। যা, ২০৪০-এ গিয়ে দাঁড়াবে শতভাগে। অথচ, সেই বছর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা ৬০ হাজার মেগাওয়াট। যার আবার ৮৪ শতাংশই আসবে প্রধান তিন জ্বালানি গ্যাস, কয়লা এবং তেল থেকে।

বিদেশ থেকে জ্বালানি কিনে বিদ্যুৎ তৈরি করতে গেলে বড় চাপ পড়বে অর্থনীতিতে। কেননা হিসাব বলছে, ২০৩০ থেকেই আমদানি বাবদ বাড়তি খরচ করতে হবে বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার করে। যা ২০৪০ নাগাদ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩০ বিলিয়ন। ফলে এই টাকা জোগাড় করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জের।

এছাড়া কয়েকগুণ উৎপাদন খরচ বাড়লে সে প্রভাবও পড়বে জনজীবনে। তবে এ বিষয়ে সরকার থেকে শতভাগ জ্বালানি আমদানি নির্ভর দেশগুলোর উদাহরণ টানা হলেও, বিশ্লেষকরা মনে করেন-সেটি একেবারেই অযৌক্তিক।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফী বলেন, এখনই আমদানিকে একমাত্র অবলম্বন হিসেবে না নিয়ে, বরং আরো চেষ্টা করা উচিৎ দেশের ভেতরে সম্পদ অনুসন্ধানের।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয় লিড ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, একটি বড় অংকের পেমেন্টের বোঝা অর্থনীতির উপর এসে পড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কাজেই রপ্তানি শিল্পায়ন হতে হবে। কাজেই আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যে পণ্যগুলো উৎপাদন করছি সেগুলো বিক্রি করে অর্থ পরিশোধ করতে পারি।
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টিফোর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়