জুনায়েদ সাকি : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপ-নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছি, তবে এই মুহূর্তে যেহেতু প্রচারণা চালানো যাবে না, তাই কর্মী বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছি। কারওয়ান বাজারে একটা কর্মী বৈঠক করেছি, মোহাম্মাদপুর টাউন হলে একটা রাজনৈতিক অফিস নিয়েছি। সেখানে কর্মীদের নিয়ে একটা সভা করেছি। এই মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারণার কৌশলসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। কিভাবে প্রচারণা চালাবো, কতজন কর্মী যোগাড় করা যায় এবং তা কিভাবে করা যায় এসকল বিষয় নিয়েই পরিকল্পনা করছি। সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে তাদের অভিমত জানার চেষ্টা করছি।
নির্বাচন নিয়ে তারা কি ভাবছে সেইসব বিষয় জানার চেষ্টা করছি। সব মিলিয়ে মোটা দাগে যদি বলি তাহলে বলব, এই মুহূর্তে নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি।
নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বড় যে ঝুঁকি বাসা বেঁধে আছে তা কিন্তু কোনোভাবেই সরানো যাচ্ছে না। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার করা আর টাকার খেলা। বড় দলগুলো তাদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভোট দখলের যে অপচেষ্টা করে তা কিন্তু বন্ধ হয়নি বরং বেড়েছে। তার সাথে টাকার খেলা একটা বড় ফ্যাক্ট।
অবৈধভাবে নির্বাচনের মাঠে টাকা উড়িয়ে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়ার চেষ্টা বরাবরের মত এবারও দেখা যাবে। তাই টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে। আর সর্বোপরি সমস্যা হচ্ছে, সুষ্ঠু ভোট হবে কি না? মানুষ নিরাপদে ভোট দিতে পারবে কি না? মানুষের মতামতের ফল সঠিকভাবে প্রকাশ করা হবে কি না, তা নিয়ে বড় সংশয়তো সবার মাঝে আছেই। তারপরেও বলতে চাই- সুষ্ঠু ভোট হলে জনগনের আশা-আকাঙ্খা পুরণ হবে।
পরিচিতি : রাজনীতিক ও মেয়র পদপ্রর্থী, ঢাকা উত্তর সিটি
মতামত গ্রহণ : লিয়ন মীর
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :