শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:০০ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় চরম বিশৃঙ্খলা

ডেস্ক রিপোর্ট : চরম বিশৃঙ্খলার কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকসহ আট ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার ঘটনা ঘটেছে। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু না হওয়া ও সিট নিয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা চাকরি প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার নতুন তারিখ দেয়া হয়েছে। আগামী ২০শে জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা একই কেন্দ্রে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন খান। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তে অন্য কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মকর্তারা জানান, আসন সমস্যার কারণে রাজধানীর মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রে চার হাজার এবং মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ১৬০০ চাকরি প্রত্যাশী পরীক্ষা দিতে পারেননি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকে গতকাল বিকালে পরীক্ষার নতুন তারিখের কথা জানানো হয়। মোশাররফ হোসেন খান বলেন, ত্রুটিতে আসন সংকটের কারণে এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২০ তারিখ আমি নিজে উপস্থিত থেকে সব দিক তদারকি করব। এদিকে বিকালে পরীক্ষা দিতে এসে নিজের আসন না পেয়ে ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীরা হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। বিকাল ৫টার দিকে তারা সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন খান পরীক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

সরকারি আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসার (সাধারণ)’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ছিল ওই কলেজ। আসন দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পরীক্ষা স্থগিত করেন কলেজের অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার কলেজ বাঁচাইতে হবে। পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা আসছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তারাই জানাবেন। এই কেন্দ্রে আট হাজার ৪৬৭ জনের পরীক্ষা নেয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা না রাখায় বিক্ষোভ শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় না বসে তারা সবাই কলেজের মাঠে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা কলেজ ভবনের জানালা ভাঙচুর করেন। পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, ৪০ থেকে ৫০ জনের রুমে ১০০ থেকে দেড় শ’ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়। তারপরও সবাইকে আসন দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এরপর ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজের জানালা-দরজা ভাঙচুর করেন। পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে ৫টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন আসলামুল হক এমপি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম মোশারফ হোসেন খান। তারা আগামী শুক্রবার পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাস দিলেও পরীক্ষার্থীরা তা শুনেননি। তাদের দাবি আগামী শুক্রবার অন্য পরীক্ষা রয়েছে। তারা এ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা ওয়েবসাইটে প্রকাশের দাবি জানান। এ সময় এমপি আসলামুল হককে পরীক্ষার্থীদের প্রতি মারমুখী আচরণ করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে এমপি এবং জিএম পরীক্ষার্থীদের ৫ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এরই মধ্যে পরীক্ষার্থীরা সামনের সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, এমপির সঙ্গীরা পরীক্ষার্থীদের মারধর করে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। ধাওয়া দিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে কলেজ প্রাঙ্গণ খালি করে ফেলে তারা। কলেজের সামনেও দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়