কিরণ সেখ: দেশের জনগণের সাথে হাসিনা সরকারের লড়াই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক মঞ্চ আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের সাথে হাসিনা সরকারের লড়াই হবে। তারা বন্দুক ও রাইফেল দিয়ে দমিয়ে রাখতে পারবে না। আর হামলা ও মামলা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করতে পারবে না। আর যদি বন্দি করে তাহলে দেখা যাবে, খালেদা জিয়া ফুলের মালা নিয়ে কারাগার থেকে বের হচ্ছেন। আর হাসিনা কারাগারে ঢুকছেন। এই লিখন তার (প্রধানমন্ত্রী) কপালে!
'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর, করতে হবে' উপলক্ষে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছেন, সেই ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হবে। কারণ আমরা যুদ্ধ করে দেশে যে স্বাধীনতা এনেছিলাম, সেই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে- বলেন তিনি।
দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা এখন অসহায় অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চায়। কারণ সরকার মনে করে, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে তারা ইতিহাসের আস্তা কুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। এই কারণে তারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়।
আমরা (বিএনপি) নির্বাচন চাই জানিয়ে নোমান বলেন, নির্বাচন আমরা করবো। তবে সেই নির্বাচন নির্ভেজাল হবে, আর সেই নির্বাচনে সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৫ জানুয়ারির মত আরেকটি নির্বাচন হলে বিএনপি সেই নির্বাচন আমরা মাথা পেতে নেবো না বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সেই নির্বাচন জাতি গ্রহণ করবে না। সেই নির্বাচনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ আওয়াজ তুলবে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে আমরা আলোচনা করবো, প্রয়োজনে আন্দোলনও করবো। আর এভাবেই আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবো।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ওপরে সরকারকে যতই শক্তিশালী মনে হোক। আসলে তারা দূর্বল হয়ে গেছে। এর কারণে তারা আজ বাঁচতে চায়। তাই আমরা বলেছি, আসুন আলোচনা করি। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের লড়াই এখনও চলছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়া না পর্যন্ত এ লড়াই চলছে এবং চলবে- বলে মনে করেন নোমান।
এ সময় দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার বর্তমান সরকার হরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।
আপনার মতামত লিখুন :