অনল রায় চৌধুরী, আগরতলা: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আটজন সাবেক মন্ত্রী। আর দলছুটের সম্মুখীন হচ্ছে ক্ষমতাসীন সিপিআইএম। আরও কয়েক হাজার ক্ষমতাসীন দলের নেতা বিজেপিতে যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার রাজনৈতিক তৎপরতা যে জমজমাট হয়ে উঠেছে তা বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্যে পরিস্কার হতে চলেছে, কংগ্রেস এবং সিপিএমের কর্মীরা রাজ্যটিতে পরিবর্তনের আশায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগদানের ঢল নামাতে পারেন।

বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন যে আটজন মন্ত্রী তাদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রের নেত্রী বিভা নাথ। এছাড়া গেরুয়া ব্রিগেডে অন্যান্য যে সকল রাজনৈতিক নেতা যোগ দিয়েছেন তারা হলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তমোজিৎ নাথ, সাবেক পুলিশ সুপার গোপাল সরকার, পাপরি হালদার, লোক জনশক্তি পাটির সভাপতি জয়শ্রী চৌধুরী, শম্পা রায়, দেবাশিস দত্ত এবং স্বরুপ দে।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব, দলের মুখপাত্র অরুণকান্তি ভৌমিক এবং সাবেক মন্ত্রী রতন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়া নবাগতদের স্বাগত জানান।

বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাবেকমন্ত্রী বিভা নাথ সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাম বিরোধী প্রত্যেক নেতা কর্মীর উচিৎ বিজেপিতে যোগ দেওয়া। কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য দলকে সহায়তা করা মানেই সিপিআইএম এর হাত কে মজবুত করা। ফলে ‘কোন অবস্থাতেই্ এখন আর কংগ্রেস করার কোন প্রশ্নই উঠে না। একই সঙ্গে কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের সঙ্গে সম্পর্ক এখন রাজ্যেও স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভিন্ন অন্য কোন বিকল্পই নেই।

অন্যদিকে এনডিএর শরিক রামবিলাস পাশোয়ান নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টির রাজ্য সভানেত্রী পাপড়ি হালদার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাম বিরোধী রাজনীতিতে বিজেপি ভিন্ন অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন গুরুত্বই নেই। বিজেপিতে যোগদানের আগে রামবিলাস পাশোয়ানের সঙ্গে তার বার্তালাপ্ হয়েছে। একেই সঙ্গে রাজ্যের পরিবর্তনের ঠেউ উঠছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সাড়া রাজ্য থেকে ৩ হাজার কর্মী সমর্থক একযোগে বিজেপিতে সামিল হচ্ছে বলে তিনি জানান।

অপরদিকে বিভা নাথ জানিয়েছেন, ৭৫ জন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকসহ প্রচুর সংখ্যক বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। ধর্মনগরের তিল থইয়ে শুক্রবার এক পরিবর্তন সভার আয়োজন করা হয়েছে।