শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:৪৭ রাত
আপডেট : ১২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সর্বজনীন উৎসবে সাম্প্রদায়িক চর্চা!

ইলিয়াস আলমগীর: বড়ই আপ্লুত হই যখন দেখি ঈদ, পূজা কিংবা বড়দিনের মতো উৎসবগুলোতে উল্লসিত হয় এদেশের বহু মানুষ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষই এ উৎসবগুলোতে আনন্দে মেতে উঠে! ধর্মের সীমানা ছেড়ে নিজেকে বিশেষভাবে প্রকাশ করে! এ বিষয়টাতে আপ্লুত না হওয়ার কোন কারণ আপাতত আমার কাছে নেই। আরো পুলকিত হই যখন দেখি এ উৎসবগুলোর পূর্বে বিভিন্নজনের শুভেচ্ছায় শোভিত প্লাকার্ড-ফেষ্টুনে জ্বলজ্বল করে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো। এসব প্লাকার্ড-ফেষ্টুনের শোভা কয়েক পারদ মিটার বেড়ে যায় ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই শ্লোগানে। কী চমৎকার হৃদ্যতাপূর্ণ কথা! ধর্মের রীতিনীতি একান্তভাবে সেই ধর্মানুসারীদের! কিন্তু উৎসবগুলো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকল মানুষের! এসব অনুষ্ঠানে আলোড়িত হবে গোটা জাতি! বিপুল উৎসাহে আনন্দে মেতে উঠবে সবাই। এই আবেদনেই ঈদ, পূজা, বড়দিনের মতো উৎসবগুলো এখন সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। এ উৎসবগুলো  গোটা জাতির  অবারিত আনন্দের উৎস। এসব উৎসবের পূর্বে পত্রিকা, ম্যাগাজিনের কলামগুলো সজ্জিত হয় সর্বজনীন ঈদ, পূজা, বড়দিন ইত্যাদি শিরোনামে। এসময় দেশের রাজনৈতিক তৎপরতায়ও যোগ হয় সর্বজনীন উৎসবের ভাষা।

গত বড়দিনে কি মনে করে ক্রিশমাস ডে লিখে গুগলে সার্চ করলাম। উইকিপিডিয়ায় ঢুকে বড়দিন সম্পর্কে পড়ছিলাম। বড়দিন উদযাপন করার পদ্ধতিতে গীর্জায় উপাসনার বিষয়টা দেখে একটু খটকা লাগল মনে। চিন্তাটাও যেন সামান্য থমকে গেল। কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে আবোলতাবোল ভেবে শারদীয়া দুর্গাপূজা উদযাপনের পদ্ধতি সার্চ করে উইকিপিডিয়ায় ঢুকলাম। দেখি, মহাসপ্তমীতে সপ্তমিবিহিত পূজা। মহাষ্টমীতে মহাষ্টমীবিহিত পূজা। মহানবমীতে কুমারী পূজা, অর্ধরাত্রবিহিত পূজা ও মহাপূজা। বিজয়াদশমীতে বিসর্জনাঙ্গ পূজা। নাহ আর ভাবতে পারি না। চিন্তটা খুব দ্রুত  ঘুরে এলো মুসলমানদের ঈদে। হুম,এখানেও তো দুঈদে বিশেষ নিয়মে নামাজ আছে।

প্রতিটা ধর্মীয় উৎসবেই আরাধনা আছে যা একেক ধর্মে একেক নামে পরিচিত। চিন্তাটা ক্লান্ত হয়ে যায় আমার! ঈদ, পূজা, বড়দিন যে উৎসবগুলোকে সর্বজনীন বলে ভাবতে শুরু করেছি, প্রচার করছি সেখানে সাম্প্রদায়িক চর্চা? যে উৎসবগুলোতে সাম্প্রদায়িক চর্চা হয় সেগুলো সর্বজনীন হয় কীভাবে? কীভাবে এ উৎসবগুলোকে আমাদের দেশের বিদ্বান বুদ্ধিজীবী এবং বিদগ্ধ রাজনীতিবিদরা সর্বজনীন বলে মহা সমারোহে প্রচার করেন! অধিকন্তু আরো গভীরে বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, প্রতিটা ধর্মীয় উৎসব এই ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক বিজ্ঞাপন! মাথাটা ভো ভো করছে। আর ভাবতে পারছি না। এই ধর্মীয় উৎসবগুলো কোনভাবেই আমাদের বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবসের মতো সর্বজনীন হতে পারে না। ধর্মীয় উৎসব গুলো ওই ধর্মের অনুসারীদেরকেই উৎসর্গ করা। অন্যকারো জন্য না। বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। লেখক: কবি ও কলামিস্ট, কুবি,কুষ্টিয়া

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়