শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৩৯ সকাল
আপডেট : ১২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাওলানা সাদকে নিয়ে কেন এত বিতর্ক

ডেস্ক রিপোর্ট : দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের অন্যতম শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি। ‘তাবলিগ করা ছাড়া কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না’ বলে মন্তব্যের পর তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়েন। কয়েক বছর ধরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাত পরিচালনা করে আসছেন তিনি। এবারের ইজতেমায় তার অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে গত জোড় ইজতেমা থেকে তাবলিগ জামাতের মুরব্বি ও ইজতেমা আয়োজকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাবলিগ জামাতের একাংশের মুরব্বিরা বলছেন, মাওলানা সাদ বেশকিছু বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন যা কোরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী। তাই তাকে ইজতেমায় তারা অংশ নিতে দেবেন না। অবশেষে গতকাল সিদ্ধান্ত হয়েছে, মাওলানা সাদ ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না। তিনি এ সময় কাকরাইল মসজিদে অবস্থান করবেন এবং সুবিধাজনক সময়ে দিল্লি ফিরে যাবেন।

মাওলানা সাদ কান্ধলভির অন্তত ২৬টি বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর এসব বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তিনি সম্মত হননি। মাওলানা সাদের বিতর্কিত বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে— ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল রাখা হারাম। কেউ পকেটে ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল রেখে নামাজ পড়লে তার নামাজ শুদ্ধ হবে না। মোবাইল ফোনে কোরআন শরিফ পড়া এবং শোনা প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মতো। যে উলামায়ে কেরাম ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল রাখেন, তাঁরা উলামায়ে ছূ। এমন আলেমরা হলো গাধা।

মাওলানা সাদের মতে, কোরআন শরিফ শিখিয়ে যাঁরা বেতন গ্রহণ করেন, তাঁদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ। যে ইমাম এবং শিক্ষকরা বেতন গ্রহণ করেন, তাদের আগে বেশ্যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। মাদ্রাসাগুলোতে জাকাত না দেওয়া হোক। মাদ্রাসায় জাকাত দিলে জাকাত আদায় হবে না। রসুল (সা.)-এর পর কেবল তিনজনের বাই’আত পূর্ণতা পেয়েছেন, বাকি সবার বাই’আত অপূর্ণ। এই তিনজন হলেন— শাহ ইসমাঈল শহীদ (রহ.), মাওলানা ইলিয়াছ (রহ.) ও মাওলানা ইউসূফ (রহ.)। দাওয়াতের পথ নবীর পথ, তাছাউফের পথ নবীর পথ নয়। রসুল (সা.) দাওয়াত ইলাল্লাহ’র কারণে এশার নামাজ দেরিতে পড়েছেন। অর্থাৎ নামাজের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি।

মাওলানা সাদের আরও বিতর্কিত মন্তব্য হচ্ছে, হযরত মুসা (আ.) দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে কিতাব আনতে চলে যাওয়ার কারণে পাঁচলক্ষ সত্তর হাজার লোক মুরতাদ হয়ে গেল। হযরত মূসা (আ.) কর্তৃক হারুন (আ.)কে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানো উচিত হয়নি। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা বান্দাকে জিজ্ঞাস করবেন, তা’লীমে বসেছিলে কি না, গাশত করেছিলে কি না? প্রত্যেক সাহাবী অপর সাহাবীর বিরুদ্ধাচরণ করছেন। আযান হল তাশকীল। নামায হল তারগীব। আর নামাযের পর আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া হল তারতীব।

মাওলানা সাদের বিতর্কিত বক্তব্যে আরও রয়েছে, হেদায়েতের সম্পর্ক যদি আল্লাহর হাতে হতো, তাহলে নবী পাঠাতেন না। কোরআন শরীফ বুঝে শুনে তেলাওয়াত করা ওয়াজিব। তরজমা না জেনে তেলাওয়াত করলে ওয়াজিবের গুনাহ হবে। বড় গুনাহ-চুরি, যিনা। কিন্তু তার চাইতে বড় গুনাহ হলো খুরুজ না হওয়া।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়