কামরুল আহসান : ২৮ তারিখে ইরানে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। এর কারণ হিসবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকেই দায়ী করে সংবাদ পরিবেশন করেছে পশ্চিমা মিডিয়া। অর্থনৈতিক দূরাবস্থা নিঃসন্দেহে একটা মূল কারণ। তবে এ বিক্ষোভের কারণ আরো অনেক গভীরে। এর কারণ প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে ইরানি জনগণ।
দ্বিতীয় মেয়াদের তার ক্ষমতায় আসাটা অনেককেই হতাশ করেছে। তিনি যেন ইরানের সর্বো” নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির হাতের পুতুল। অনেক সংস্কারের কথা বললেও কার্যত তিনি নিরব। অনেক আশা দিয়েই তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছিলেন। নিজের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহিম রাইসিকে এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে হারিয়েছিলেন যে, তিনি ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা বাড়বে। অর্থনীতির পুনরুদ্ধার হবে। কিছুই হয়নি। কথা আর কাজের মাঝখানে রয়ে গেছে বিরাট ফারাক। তাই বিক্ষোভকারীরা এবার রুহানির ওপর খুব চটে উঠেছে। বিক্ষোভের শুরুতেই তার সরকারের অপসারের দাবি ওঠে। আঙুল উঠে সরাসরি আয়াতুল্লাহ খামেনির দিকেও। ইরান যদিও এখন প্রচার করছে এসব বিদেশী চক্রান্ত। কিন্তু, বিদেশী সংবাদ মাধ্যমও তাদের এই বলে হুঁশিয়ারি করছে যে তাদের নিজেদের ভিতরেও বিরাট গলদ আছে। ফরেন অ্যাফেয়ার্স
আপনার মতামত লিখুন :