জাকারিয়া হারুন : বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবেন না, শুক্রবার জুমার পর কাকরাইল মসজিদ থেকেই দিল্লি ফিরে যাবেন ভারতের নিজামুদ্দিনের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা সাদ কান্ধলভি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তাবলীগে জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা যথাসময়ে হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে। যাদের নিয়ে বিতর্ক ছিল তাদের নিয়ে একটা সমঝোতায় তাঁরা এসেছেন।
তিনি বলেন, মাওলানা সাদ সুবিধামতো সময় বাংলাদেশ থেকে চলে যাবেন। তিনি ইজতেমায় অংশ নেবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি কাকরাইলে থাকবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আশা করি এই সিদ্ধান্তের পর কাল থেকে আর কেউ সড়কে নামবেন না। সবকিছু শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমাদের অর্থনীতির ডেপুটি এডিটর হুমায়ুন আইয়ুব। বৈঠকের পর তিনি আমাদের সময় ডটকমকে জানান, বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সম্প্রতি কওমি শিক্ষা নিয়ে ‘বিতর্কিত ‘ মন্তব্যের জের ধরে তাবলিগ জামাতের দিল্লির মুরব্বি মাওলানা সা’দের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ভারতের দেওবন্দের আলেমরা। এরই জের ধরে বাংলাদেশেও কওমি আলেমরা তাকে প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
আসন্ন ইজতেমায় অংশ নিতে বুধবার মাওলানা সা’দ ঢাকায় এলে বিমানবন্দরেই তাকে প্রতিহতের উদ্দেশ্যে তাবলিগের একাংশ ও কওমিপন্থী আলেমরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
তবে বিকালে বিশেষ পুলিশ পাহারায় তাকে কাকরাইলের তাবলিগ মসজিদে আনা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর ও আশেপাশের এলাকায় টানা ৭ ঘণ্টা মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। বিষয়টির কোনও সমাধান না হওয়ায় বৃহস্পতিবারও সা’দবিরোধীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট এলাকায় আন্দোলন শুরু করে।
এ অবস্থায় উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে উভয়পক্ষকে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকে বসার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ নদীর পারে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :