সাঈদা মুনীর: মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্করশিল্পী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে কাজী শাকের তূর্য। একই সঙ্গে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাজী শাকের তূর্য এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মা (ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী) গত ২ মাস ধরে জটিল শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রায় দুই মাস হয়ে গেল।তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া তথ্যানুযায়ী শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বাড়িতে গেলেও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন। যার অংশ হিসেবে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ও একজন সহযোগী নার্সের প্রয়োজন এবং নিবিড় পরিচর্যা ও সহযোগিতার বিকল্প নেই।
তূর্য আরও বলেন, মা শুধু একজন দেশবরেণ্য ভাস্কর নন, তিনি মানবাধিকারকর্মী হিসেবে নির্যাতিত মানুষের পাশে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো একজন সাহসী যোদ্ধা। বর্তমান সরকার মাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে। দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক। তবে বেঁচে থাকাকালীন তার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট বাসস্থানের প্রয়োজন, তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে একটি সুনির্দিষ্ট বাসস্থান এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে লিখিত আবেদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্স অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) তার ব্যাপারে বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত হাসপাতালে না থেকে বাসায় গিয়ে অবস্থান করা প্রয়োজন। তার যেহেতু দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন, তাই আমরা পরিবারকে জানিয়েছি, বাসায় নিয়েও এ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
গত ৭ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে আঘাত পান ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। পরে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে তিন দফা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তার এবং ব্লাড প্রেসার কমে যায়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। ২০ ডিসেম্বর বাড়িতে নেয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড ও উচ্চ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। সূত্র:
আপনার মতামত লিখুন :