সুশান্ত সাহা : সিস্টেমের কারণে অনেক কিছু সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অডি্েটারিয়ামে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবদের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, এই সভা মূলত মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের অনুরোধে করা হয়েছে। এখানে এক বছরের কর্মকান্ডের মূল্যায়ন করা হয় এবং পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়। আমাদের পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা লাগবে। গত নয় বছরে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে। আমাদের সরকার প্রধান যখন আমাদের কাজের মূল্যায়ন করেন তখন আমরা দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে কাজ করে থাকি। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈশি^ক সমস্যা। এটার প্রভাব বাংলাদেশেও ছিল। গত বছরে হলি আর্টিজান হামলার মাধ্যমে তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছিল। তারা বেহশতে যাওয়ার দোহাই দিয়েই যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করেছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা একটির পর একটি জঙ্গি আস্তানা খুঁজে বের করেছে। ৫৭ জন আত্মঘাতি জঙ্গি সদস্যরা পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছে। তারা মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যা করেছিল। আমরা তাও বন্ধ করেছি। এ কারণে বহিঃবিশ্বেও আমাদের প্রশংসা করেছে। ইন্টারপোল আমাদের দুুইজন সস্য নিয়েছে।

এ পুলিশ প্রধান বলেন, গত বছরের তুলনায় দেশে বিভিন্ন প্রকার অপরাধ কমেছে। পুলিশের পেশাদাত্বি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। চার বছরে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল হওয়ায় বিভিন্ন প্রকার আন্ত:র্জাতিক সম্মেলনও হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন দেশের স্পীকার ও সংসদ সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পুলিশের জন্য বাজেট ব্যয় নয় বিনিয়োগ হিসেবেই ধরা হয়। আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট হচ্ছে। এরকারণেই জায়গা প্রয়োজন। ভূমিমন্ত্রী অনেক উদারভাবে বিভিন্ন সময়ে আমাদের অনেক সহযোগিতা করে থাকেন। আমাদের যেসব প্রজেক্ট থাকে সেখানে আমাদের কর্মকর্তারা তার খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন। আমাদের কিছু বাজেট দেওয়া হয়। বছরে আমাদের চারশ কোটি টাকা বাজেট দেওয়া হয়। এতে আমাদের হয়না। আমাদের বছরে এক হাজার কোটি টাকা বাজেট দিলে আমাদের সুবিধা হয়। পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কারণে অর্থ বছর শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ব্যাহত হয়। পুলিশের যা কিছু অর্জন তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অবদান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভিশন বাস্তবায়ন করতে হলে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

পুলিশের পাঁচ গ্রেড ১ দিতে চেয়েছিল দিয়েছে দুটি। আর আর গ্রেড-২ দেবে ১০টি। সেখানে দিয়েছে তিনটি। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দিলেও তা সিস্টেমের কারণে বাস্তবায়ন হয়না। সব সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাওয়া যায়না। যদি সিস্টেম ঠিক থাকে তাহলে আর সমস্যা হয়না।

মতবিনিময় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আল আমিন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জাম খাঁন কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল, ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক উপস্থিত ছিলেন।