ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান : বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম সেরা পণ্ডিত ও মনীষী অধ্যাপক ডক্টর আহমদ শরীফ। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতি পরিমন্ডলের অন্যতম এই প্রতিভূ’র জন্ম গ্রহণ করেন ১৯২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, আর প্রয়াত হন ১৯৯৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি। একাধারে ভাষাবিদ, লেখক, চিন্তক ও সমাজ সংস্কারক এই খ্যাতনামা মনীষীকে স্মরণ করতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজন করে ‘ডক্টর আহমদ শরীফ: মনীষা’ শীর্ষক সেমিনার।
বুধবার বিকেলে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সেমিনারে ‘ডক্টর আহমদ শরীফ: মনীষা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও লেখক অধ্যাপক আহমদ কবির। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, বাংলাদেশের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নেহাল করিম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। সভাপতিত্ব করেন লেখক ও চিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, আহমদ শরীফ বড় হয়ে উঠেছিলেন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের দুর্লভ অমূল্য পুঁথির ভান্ডার ও সাময়িক পত্রপত্রিকার সম্ভারের মধ্যে। তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি ব্যয় করেছেন মধ্যযুগের সাহিত্য ও সামাজিক ইতিহাস রচনার জন্য। যা ইতিহাসের অন্যতম দলিল। বিশ্লেষ্ণাত্মক তথ্য, তত্ত্ব ও যুক্তিসমৃদ্ধ দীর্ঘ ভূমিকার মাধ্যমে তিনি মধ্যযুগের সমাজে ও সংস্কৃতির ইতিহাস বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে দিয়ে গেছেন যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অমর গাঁথা হয়ে থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :