শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:২২ সকাল
আপডেট : ০৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তৃতীয় দিনেও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুগ্ধ দর্শক-শ্রোতা

ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান : রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে দশ দিনব্যাপী ‘জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব’। প্রথমবারের এই আয়োজন একাডেমির নন্দন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার ছিল উৎসবের তৃতীয় দিন। এদিনে রাজধানীর শিল্পীদের পাশাপাশি ছিলো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীদের বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনা। তাদের বাদ্যযন্ত্রের সুরে-তালে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের সঙ্গে যেন মুগ্ধ ছিলো পুরো শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।

সূচি অনুসারে বিগত দিনগুলোর মতো এদিনও বিকেল থেকে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পৌষের শীতের বিকলে শিল্পকলার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের নন্দন মঞ্চে এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই সরোদ পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী শাহাদাত হোসেন খান। এরপর তবলা বাজিয়ে শোনান সরুপ হোসেন এবং বাঁশি বাজিয়ে শোনান উত্তম চক্রবর্তী।

জাতীয় পর্যায়ের যন্ত্রশিল্পীদের পরিবেশনা শেষে শুরু হয় জেলা পর্যায়ের যন্ত্রশিল্পীদের পরিবেশনা। শুরুতেই যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করতে আসে ময়মনসিংহ জেলার শিল্পীরা। এর প্রথমেই বাঁশি বাজিয়ে শোনান ওস্তাদ সাহাব উদ্দিন খাঁ ও মো. সাইদুজ্জামান সুমন। পরে তবলায় বোলছড়াতে আসেন মো. আরজু পারভেজ, ঢোল বাজিয়ে শোনান-প্রবীর দে এবং মেন্ডোলিন বাজিয়ে শোনান মো. হাবীব। এরপরেই মঞ্চে আসে দিনাজপুর জেলার যন্ত্রশিল্পীরা। এ পর্বের শুরতেই দোতারা ও বাঁশীর ধুনে উঠে আসে দেশের গান ‘সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা’ এবং লোক সংগীত ‘শোনগো রুপসী কইন্যা’ শীর্ষক দুটি গান। এতে অংশ নেন দিনাজপুরের যন্ত্রশিল্পী-মহাবীর দাস, নোটন সরকার, নূর ইসলাম বাবুল, সুজন কুমার দে, পলাশ দাস, রতন দাস, সুনীল মজুমদার ও হারুনুর রশিদ। তাদের এ পরিবেশনা শেষে শুরু হয় সিরাজগঞ্জ জেলার শিল্পীদের পরিবেশনা। এতে ‘কিবোর্ড’ বাজিয়ে শোনান-আজাদ রহমান, তবলা পরিবেশন করেন-ভরতচন্দ্র প্রসাদ, ঢোল বাজিয়ে শোনান-সঞ্জীব কুমার সরকার, হারমোনিয়াম বাজিয়ে শোনান-মিলন মন্ডল, দোতার বাজিয়ে শোনান-কাসেম সরকার, মুকুল হোসেন বাজিয়ে শোনান-বাঁশি, লিটন চন্দ্র দাস-অক্টোপ্যাড, বিধান-গীটার এবং তুফান সরকার-বেহালা। তারপর মঞ্চে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে নোয়াখালী’র যন্ত্রশিল্পীরা। এ পর্বে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শোনান-তপন বিকাশ মজুমদার, সনজিদ দাস, শিমুল কান্তি দাস, মোজাম্মেল হক, রুপম চক্রবর্তী ও মহাদেব চন্দ্র দাস। এরপরে শেরপুরের যন্ত্রশিল্পী রাজন রাম রবিদাস-ঢোল ও আনারুল ইসলাম-হারমোনিয়াম বাজিয়ে শোনান। তাদের পরিবেশনা শেষে মঞ্চে এদিনের সবশেস যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করতে আসেন মাদারীপুর জেলার শিল্পীরা। এ জেলার শিল্পীদের মধ্যে তবলা বাজিয়ে শোনান মো. সাইদুল ইসলাম, মানিক-হারমোনিয়াম, ইয়াকুব শেখ-হারমোনিয়াম, নিরঞ্জন রায়-বেহালা, পার্থ রহমান ও মিলন নাগ-বাঁশি, কামাল বয়াতি-একতারা এবং দুলাল মিয়া-ঢোল পরিবেশন করেন।

আজ এ উৎসবের ৪র্থ দিন। এদিনের পরিবেশনায় রাজধানীর শিল্পীদের মধ্যে তবলা বাজিয়ে শোনাবেন জাকির হোসেন, সারোগীত-নাসির উদ্দিন এবং একোর্ডিয়ানে সুর তুলবেন-মনির হোসেন। তাদের পরিবেশনা শেষে শুরু হবে দেশের বিভিন্ন জেলার পরিবেশনা। এদিনের জেলার পরিবেশনায় থাকছে ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, সাতক্ষীরা, কুঁড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যন্ত্রশিল্পীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়