শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:৪৫ সকাল
আপডেট : ০২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারের অনুমতি নিয়ে সমাজসেবা কাজ করতে হবে : ড. আতিকুর রহমান

ফারমিনা তাসলিম : আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হচ্ছে। মূলত সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে দেশের উন্নয়ন এবং সবাইকে সমাজসেবায় উৎসাহী করার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যেগে নানারকম সমাজসেবামূলক এবং দাতব্য সেবা প্রধান করা হয়।

বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় সমাজসেবায় লোকজন কতটা এগিয়ে আসছেন?

এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আতিকুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে সমাজসেবামূলক কাজ এবং দাতব্য সেবামূলক কাজ করার জন্য তারা সবসময় প্রস্তুত থাকে এবং করে আসছে। তার উদাহরণ হলো বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের সামাজিক বা শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশের মানুষ নিজেদের উদ্যোগে গড়ে তুলেছে। যে কারণে স্কুল কলেজগুলো আমাদের দেশের মানুষের নামে আছে অর্থাৎ বাইরের কোনো সহযোগিতা ছাড়া নিজেরাই এ সমস্ত ব্যবস্থাগুলো গড়ে তুলেছে। বড় রকমের সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দেখতে পায় বাংলাদেশে প্রায় এক লাখের মতো এতিমখানা আছে। এগুলো স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় চলে। যেমন আরো একটা বড় উদ্যোগ হলো - আমাদের রক্তদান কর্মসূচি, যেটা যুব সমাজ গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের বিষয়টিতে মানুষ সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছে। নারীদের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান, সামাজিক সচেতনতা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনার বিষয়গুলো নিয়ে সবচেয়ে অধিক সংখ্যক এনজিও সংস্থাগুলো কাজ করছে।

দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো কি সংখ্যায় খুবই নগণ্য?

জবাবে অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, ১৯৬১ সালের সমাজকল্যাণ সংস্থা নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশে বলা আছে বাংলাদেশে কোনো ধরনের সামাজিক কাজ করতে হলে সরকারের অনুমতি নিয়ে রেজিস্ট্রিশন করে করতে হবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলো একধরনের সরকারের রেজিস্ট্রি নিয়ে করতে হবে। এ এনজিওগুলো সামাজিক বা মানুষের সেবা করার প্রবণতাটা তাদের একটা আনুষ্ঠানিক রোগ। অন্যের দুর্দিনে এগিয়ে আসার অভ্যাস মানুষের আছে।

সরকারের অনুমতির বিষয়টা কেন বাধা তৈরি করে?

জবাবে অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, এটা সরকারের দায়বদ্ধতা। সারা বিশ্বব্যাপী এ ধরনের চ্যারিটি কাজ করতে গেলে সরকারের অনুমতি বা রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয়। কারণ একটা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা সত্যিকার অর্থে কল্যাণটা নিশ্চিত করতে পারে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অঙ্গনের পরিচিত ব্যক্তিরা চ্যারিটির সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকেন বা নিজেরাই দাতব্য ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ রকম উদাহরণ খুব একটা কি দেখা যায়?

জবাবে আতিকুর রহমান বলেন, খুব একটা কেন বলব আমরা অত্যন্ত উজ্জ্বলভাবে বলতে পারি যেমন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি ডায়বেটিক হাসপাতাল গড়ে তোলেন। বাংলাদেশে প্রবীণদের সংঘটা গড়ে তুললেন ড. এ কে এম আব্দুল ওয়াহিদ। এরকম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরবর্তীকালে আনুষ্ঠানিক বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেবা দিয়ে যায়।

ডা. ইব্রাহিমের প্রতিষ্ঠানটিতে অর্থের বিনিময়ে সেবা নিতে হয় কিন্তু কেন?

জবাবে আতিকুর রহমান বলেন, একটা পেশাগত সেবার বিষয়টি শুরুর দিকে চলে আসছে। পেশাগত সেবা নিতে হয় অর্থের বিনিময়ে। দাতব্য বলতে আমি স্পষ্টসহকারে বলব, গণহারে ভিক্ষা লেনদেনের একটি অংশ। বিরাট একটা টাকা তারা ভিক্ষাবৃত্তিতে দান করছে। সেটা একধরনের সমাজসেবা বা মানুষ সেবামূলক কাজ। স্বেচ্ছায় কাজ করার ক্ষেত্রে যেটা বলব বাংলাদেশে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৬৫ হাজারের ওপর এনজিও আছে। তারা সমাজকল্যাণমূলক কাজ করছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া সমাজ কল্যাণমূলক কাজ করা যাবে না। এটা আমাদের দেশের একটা আইন। আইনের মাধ্যমে ষাটের দশক থেকে আমাদের দেশে সমাজসেবামূলক কাজগুলো সহজভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের বিরাট সংখ্যক নারী, বিরাট সংখ্যক শিশু প্রতিবন্ধী ও প্রবীণদের জন্য ব্যাপকভিত্তিক সমাজসেবামূলক কাজ করা হচ্ছে। প্রবৃদ্ধিমূলক সমাজসেবা কাজ যদি এখন হাতে নেয়া না হয় সামনে কিন্তু আমরা অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ব।

সূত্র - বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়