জাকারিয়া হারুন : আমাদের জীবন থেকে কেটে গেল ২০১৭। স্বাগত ২০১৮। আমাদের জীবনের খাতার হিসাব নিতে হবে। কতোটুকু ভালো কাজ করেছি। আর কতোটুক মন্দ কাজ করেছি। কবরে ফেরেশতা হিসেব নেওয়ার পূবেই নিজেই একটা হিসেব নেওয়া। জীবনের ভুলগুলোর জন্য মহান আল্লাহর দরবারে তওবা করা। আর ভালো কাজের জন্য মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।
যেখানে অনুতপ্ত থাকার কথা। অথচ আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন নামে অপসংস্কৃতিতে জড়িয়ে পরছি। যা নিয়ে বিভ্রান্ত প্রশাসন। অভিভাবকবৃন্দ। আতশবাজি, নাচ-গান আনন্দ-উল্লাসের নামে বেহায়াপনা- বেলেল্লাপনার ছড়াছড়ি ঘটে। আমাদের কি নিজস্ব স্বকীয়তা আছে। পশ্চিমা দেশের দেখাদেখি আনন্দের সাগরে গা ভাসিয়ে দেওয়া কতোটা যুক্তিক ? কতোটা বিজ্ঞান সম্মত?
মহান আল্লাহ আমাদের জীবন দিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। মানুষের এ জীবন পরীক্ষার হলের ন্যায়। পবিত্র কোরআনের সূরা কাহফের ৭ নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,‘আমি পৃথিবীর সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যাতে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে’ ?
ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। আমোদ-ফূর্তি,আনন্দ বিনোদন সব কিছু রয়েছে ইসলাম ধর্মে। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩ নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে (ইসলামকে) পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামতসমূহ সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং আমি তোমাদের দ্বীন ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট রইলাম।’
আমি মুসলিম। আমি বাংলাদেশী। আমার নিজস্ব স্বকীয়তা, সংস্কৃতি আছে। নিজস্ব সংস্কৃতির বাইরে অপসংস্কৃতিতে জড়িয়ে পরবে সে ক্ষতিগ্রস্ত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম (বিধর্মী ও বিজাতীয়দের রীতি-নীতি) অনুসরণ ও অনুকরণ করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবেনা এবং সে পরকালে (অবশ্যই) ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সূরা আলে ইমরান আয়াত : ৮৫)
বিদায় বছরে উদযাপন এটা ভিন্ন ধর্মের লোকদের রীতি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও নাছারাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। (তারা কখনোই তোমাদের বন্ধু হবে না) তারা একে অপরের বন্ধু। কাজেই, তোমাদের মধ্যে যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে তারা তাদেরই অন্তভূর্ক্ত হবে। আর মহান আল্লাহ তিনি জালিমদেরকে হেদায়েত দান করেন না’। (সূরা মায়িদা : আয়াত : ৫১)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (সুনানে আহমদ; সুনানে আবূ দাউদ)
হযরত আমর বিন শুয়াইব রহ.তাঁর বাবা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের ব্যতীত অন্য সম্প্রদায়ের সাথে (আক্বীদা-আমলে) মিল রাখে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। অতএব, তোমরা ইহুদী ও নাছারাদের সাথে সাদৃশ্য রেখো না। (সুনানে তিরমিজি)
আপনার মতামত লিখুন :