শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:৪২ সকাল
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপি জোটের কারবারই হচ্ছে খুন সন্ত্রাস: শেখ হাসিনা

সারোয়ার জাহান : বিএনপি জোটের কারবারই হচ্ছে খুন সন্ত্রাস বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেই দেশে শান্তি ফিরে আসে, দেশের উন্নয়ন হয়।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়ার গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, হানাদারদের সঙ্গে এদেশের মানুষের ওপর নৃশংসতা চালিয়েছে, তাদের পুরস্কৃত ও পুনর্বাসন করাটা ছিল তার বহুদলীয় গণতন্ত্র।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনককে হত্যার পর এ দেশ পরিণত হয়েছিল হত্যা, ক্যু, কারফিউর দেশ। লুটপাটের রাজত্বে কায়েম করা হয়েছিলো এ দেশে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কারফিউ জারি করে দেশ চালাতো। জিয়া কারফিউ দিয়ে ভীতিকর পরিবেশে দেশ চালাতেন।’

‘জিয়ার গণতন্ত্র ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। যে যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এ দেশের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে, পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে তুলে দিয়েছে, নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে পুরস্কৃত করাটা ছিল জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র।’

এর আগে জনসভা মঞ্চে পৌঁছেই যশোরের উন্নয়নে ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতায় এ প্রকল্পগুলোর কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলো হলো- কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (১ম পর্যায়), ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যশোরসদর উপজেলাস্থ আমদাবাদ কলেজ ১ম পর্যায়ে নির্মিত দোতলা ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলার সম্প্রসারণ কাজ; একই প্রকল্পের আওতায় শার্শা উপজেলাস্থ পাকশিয়া কলেজ ১ম পর্যায়ে নির্মিত দোতলা ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলার সম্প্রসারণ কাজ; বাঘারপাড়া উপজেলাস্থ বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজ ১ম পর্যায়ে নির্মিত দোতলা ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলার সম্প্রসারণ কাজ; যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলা সদরে ৫০০ আসন বিশিষ্ট শহীদ মশিয়ুর রহমান অডিটোরিয়াম-কাম মাল্টি পারপাস হল, নির্মাণ; পাবলিক লাইব্রেরির (৩য় পর্যায়) উন্নয়ন প্রকল্প; যশোর মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ; হৈবতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ; নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ; মহাকাল ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ; পাতিবিলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ; যশোর পুলিশ সুপার ভবন নির্মাণ; যশোর পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের পূর্ণাবয়ব প্রতিকৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ; নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় যশোর শহরের ১৩ কিলোমিটার সড়ক ও ২২ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ; ঝিকরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও অভয়নগরের মালোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ প্রকল্প।

আর প্রধানমন্ত্রীর হাতে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত প্রকল্পগুলো হলো- ভৈরব রিভার বেসিন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প; যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক (এন-৭০৬) যথাযথমানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; যশোর-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক যশোর অংশ (পালবাড়ী হতে রাজঘাট অংশ) যথাযথমানে উন্নীতকরণ প্রকল্প;

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়