খন্দকার আলমগীর হোসাইন : নির্বাচন কমিশন রংপুরে যে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছি, গতকালের স্থানীয় সরকারের তৃণমূলের নির্বাচনের মাধ্যমে তা কলঙ্কিত হলো। তাহলে এই নির্বাচন কমিশন আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশনের মতো অবস্থা হবে। এখানে নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ করণীয় ছিল, সম্পূন্নভাবে ভ্যর্থ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কারচুপির বিষয়ে এক প্রশ্রে জবাবে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এই সব কথা বলেন।এই স্থানীয় সরকার বিষেশজ্ঞ আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যেটা রংপুরে করেছিল সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। সবাই সহযোগিতা করেছিল। সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন কেউ-ই নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করেনি। অন্যরাও গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেছে। আমরাও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দ্বায়িত্ব পালন করেছি। রাজনীতিক দলগুলোও সহিংশ আচরণে লিপ্ত হয়নি। গণমাধ্যমও ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখন যে জিনিসটা ঘটলো নির্বাচন কমিশন যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছিল, সে বিশ্বাসযোগ্যতা এখন হুমকির মুখে। ভুলণ্ঠিত বলবো না, চরমভাবে ভূমকির মুখে। তারা যদি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে যেসব জায়গায় অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনের সময়ে সেসব জায়গায় তারা তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। প্রয়োজনে তারা যেন নির্বাচন বাতিল করে। যারা এসব কর্মকা-ের সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়। কাগজে দেখিছি, একজনকে দেখলাম নির্বাচনের সময় সিলমারা ব্যালট পেপার বিতরণ করছে। এসব তো চরম অপরাধ, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :