খন্দকার আলমগীর হোসাইন : ধারাবাহিকভাবে যদি কোনো নির্বাচন খারাপ হয়, দু-একটা ভালো হলে সেটাকে যে খুব ভালো বলা যাবে না। রংপুর সিটি করপোরেশন শহরে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনসহ সবার খুব ফোকাস ছিল। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন যে কত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের রাজনীতিকরা অনুধাবন করে না অনেকেই। এই নির্বাচনগুলো পাট বাই পাট হয়। ধরেন, ২০, ৫০, ১০০টা ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন হচ্ছে, এসবের কারণে সবার মনোযোগ থাকে না। একসাথে হওয়া উচিত সব ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন। আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও স্থানীয় সরকার বিষেশজ্ঞ ব্রি. জে. (অব:) শাখাওয়াত হোসেন এই সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনেরও প্রবণতা হলো, একটা নির্বচান ভালো হলেই হয়ে গেলো? সবগুলো ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন এক সাথে হলে সবার নজর থাকতো। কমিশন এই নির্বাচনে খুব একটা নজর দিয়েেেছ বলে আমার মনে হয়নি। নজর দিলে এমনটা হতো না অথবা শিথিল ছিলেন। যেভাবে রংপুরে সো কেইস করেছিল। নির্বাচন কমিশনের আগেই থেকেই তৎপরতাও চোখে পড়েনি। যখন ব্যাপক হারে নির্বাচন হবে, তখন তাদের পারপরম্যান্স দেখলে বুঝা যাবে, কেমন হয়। শক্তি প্রদর্শন হয়েছে নির্বাচনে। তবে একটা নির্বাচন ভালো হয়েছে, আমরা সবাই বলেছি। ভালো হয়েছে বলেই ভালো বলেছি। আমি কিন্তু এ-ও বলেছিলাম, এটা কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়। এটা কোনো ব্যাপক নির্বাচনও নয় যে সার্বিক মূলায়ন করা যাবে কমিশনকে। তাদের যোগ্যতার যাচাই হবে জাতীয় সংদস নির্বাচন অথবা ব্যাপক কোনো নির্বাচনে।
আপনার মতামত লিখুন :