আহমেদ ইসমাম : সরকারের বিএনপির উপর যে হারে আক্রমণমূলক কর্মকা- তা থেকে বুঝা যায় তারেক রহমান বাংলাদেশে আসা নিরাপদ নয়। রাজনৈতিক নেতারা কখনো নিজের কথা চিন্তা করে না, তারা সব সময় জনগণের কথা চিন্তা করে। তবে ১/১১ পর তার উপর যে হারে হামলা মামলা হয়েছে এতে করে দলের ভেতর থেকে তার নিরাপত্তা নিয়ে সবাই চিন্তিত। তার নিরাপত্তা দলের ভেতর থেকে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারেকের দেশে ফেরা নিয়ে সংশয় থাকবে। বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই সব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, তারেকের লন্ডনে থাকার আরেকটি কারণ হচ্ছে চিকিৎসা। তাকে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তার দেশে না ফেরা নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পরবে না, কারণ তিনি আমাদের দলে একজন প্রতিষ্ঠিত নেতা। বেগম জিয়ার বর্তমান ও অবর্তমানে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন, এই ব্যাপারে দলের ভেতরে বা বাইরে কোনো ধরনের বিতর্ক নেই। যেহেতু দলে তার অবস্থানটা প্রতিষ্ঠিত তাই সে সরকারের তরফ থেকে আক্রমণের স্বীকার হচ্ছে এবং সেই সাথে তার প্রতি নজরটাও খুব তীক্ষè। সুতরাং সময় বলে দিবে তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, দলের নেতাকর্মীরা অনেক আগ্রহের সাথে আছে তিনি দেশে ফিরে দলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি যে দলের নেতৃত্ব দেবেন এই ব্যাপারে দলের মাঝে সবার সব দিক দিয়ে গ্রহণ রয়েছে। অনেক টকশোতে বিভিন্ন সমালোচনা করতে পারে, তবে তাদের এই সমালোচনা খুব বেশি বড় করে দেখি না। যিনি রাজনীতি করবেন, তার পক্ষে যেমন কথা থাকবে, তার বিপক্ষেও কথা থাকবে। আর রাজনীতিতে তিনি প্রতিষ্ঠিত বলেই নানা দিক থেকে নানা কথা বের হচ্ছে। আমরা এই সব কথা আমলে নিতে চাই না। আমরা যেটা আমলে নিতে চাই, সার্বিক পরিস্থিতি। যেখানে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা বা সস্তিতে নেই গুম খুনের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। আমাদের দলের প্রভাবশালী নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ রয়েছেন, সেখানে তারেক রহমানের নিরাপত্তা কতটুকু থাকবে সেটা নিয়ে সন্ধেহ থেকেই যায়।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
আপনার মতামত লিখুন :