বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলায় হরিণের মাংস পাচারকালে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার উত্তর বকুলতলা গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, সাউথখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর তালুকদার (৫০) এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম রিপন (৪৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে বস্তা ভর্তি ১০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. ফারুকুল ইসলামের মাধ্যমে জানতে পারি জাফর ও রিপন নামের দুই ব্যক্তি সুন্দরবন সংলগ্ন বকুলতলা গ্রাম থেকে একটি বস্তায় করে হরিণের মাংস নিয়ে তাফালবাড়ি বাজারের দিকে আসছে। এর ভিত্তিতে থানার এসআই আবুল বাশারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর একটি মোটরসাইকেলে তিন ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। এসময় ছগির বয়াতি নামের মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে গেলেও জাফর ও রিপনকে পুলিশ আটক কর। তাদের কাছ থেকে বস্তা ভর্তি ১০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, হরিণের মাংস পাচারের অভিযোগে তিন জনের নামে শরণখোলা থানায় বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করে আসামিদের বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাংস আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) ফারুকুল ইসলাম জানান, হরিণের মাংস পাচারের বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়। তার নেতৃত্বে বনরক্ষীরাও পাচারকারীদের ধাওয়া করে। একপর্যায় পুলিশ তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে তার মাংস দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করে আসছে। তারা চুক্তিভিত্তিক শিকারীদের মাধ্যমে সুন্দরবনে বিষটোপ এবং নাইলনের রশির ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে থাকে।
এই মাংস ৮০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :