প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক: যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে উঠে এসেছে জার্মানির চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মার্কেল এবং টেরেসা মে’র মত ব্যক্তিত্ব।
এক যুগ ধরে চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বরত অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ১৯৮৯ সালে রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী এই নারী ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘকাল ধরে ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রপ্রধান। এখন পর্যন্ত মোট রেকর্ড সংখ্যক ১০বার ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে তিনি টাইম ম্যাগাজিনে ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে নির্বাচিত হন।
এদিকে গত যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারী ক্লিনটনকে হঠিয়ে দ্বিতীয় স্থানটি অর্জন করে নিয়েছেন ব্রিটিশমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রেক্সিট বিতর্কের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
এরপরের নম্বরে রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি মেলিন্ডা গেটস। বিশ্বব্যাপী তার জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য এর আগেও একাধিকবার ফোর্বসের প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন।
২০১২ সালে তিনি প্রথম নারী হিসেবে ফেসবুকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত শেরিল স্যান্ডবার্গের নামও উঠে এসেছে সেরাদের এই তালিকায়।
এখনও পর্যন্ত মোট ছ’বার ফোর্বসের ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় স্থান পাওয়া ম্যারি বারা রয়েছেন এই তালিকায়। মোটরগাড়ি শিল্পের প্রধান কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রথম নারী সিইও এবারও ধরে রেখেছেন তার অবস্থান।
২০১৪ সালে ফোর্বসের ক্ষমতাধর নারী তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করা আইএমএফের শীর্ষকর্তা ক্রিস্টিন লাগার্দ ২০১১ সালে প্রথম নারী হিসেবে এই পদে নিযুক্ত হন। ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় বিখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএমের সভাপতি ভার্জিনিয়া ম্যারি রমেটি, স্প্যানিশ ব্যাঙ্কার অ্যানা প্যাট্রিশিয়া বটিন। জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবের প্রধান কর্তা সুজান ওইচির প্রভাবশালী নারী ব্যক্তিত্বরা। ফোর্বস
আপনার মতামত লিখুন :