শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৫৬ সকাল
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে হাজারো শিশুগৃহকর্মীর কান্না কেউ শুনতে পায় না: সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ

জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: হাজারো অধিকার বঞ্চিত শিশুরা ঢাকার বিভিন্ন বাসায় কাজ করছে, যাদের কান্নার শব্দ অনেকের কানেই পৌঁছে না বা কেউ এসব বিবেচনায় আনে না। এগুলো যদি দ্রুত নিবন্ধন বা বিবেচনায় না আনা যায় তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।

বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমেদ।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ১২ বছর বয়সী এক শিশু গৃহকর্মী নির্যাতন করে হত্যার ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে শ্রমিকদের একটি সংগঠন।

প্রতিবাদে আজ তারা মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করবে গৃহকর্মী অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক এবং শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম। ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার আদাবরের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আল-আমিন নামের এক গৃহকর্মীর মরদেহ।

গৃহকর্মী এবং শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশে প্রায়ই ঘটে। এমন ঘটনা রোধে করণীয় কী?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষ কুণ্ঠিত ও নির্যাতিত হবে এটি ধরেই নেওয়া হয়েছে। গত ২০ বছরে শ্রমিক নির্যাতন নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। তারা হয়তো অনুভব করে এই নির্যাতন হওয়া উচিত নয় কিন্তু কখনো তারা সোচ্চার হয়নি।

যখন শ্রমিক নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটে এবং তারা যদি মারা যায় তখন দেখা যায় কোনো সমঝোতার মাধ্যমে দুই পক্ষ এই সমস্যার সমাধান করে ফেলে। কিন্তু কেন এটা হয়- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মামলাগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের যে দৃঢ় ভূমিকা থাকার কথা সেটা একেবারেই অনুপস্থিত থাকে। আর এ ক্ষেত্রে একটি অসম শত্রুতার সৃষ্টি হয়। একদল মামলা মেটানোর জন্য উকিল দিতে পারছে আর এক দলের কোটে এসে হাজিরা দিবে এমন টাকাও থাকে না। আর এই রকম অবস্থায় কেউ না কেই গ্রেফতার হয়, পাশাপাশি একদিকে চাপ এবং অন্যদিকে প্রলোভনও চলতে থাকে। এই ক্ষেত্রে তারা বলে টাকা নাও এবং মীমাংসা করে ফেলো। কারণ যে যাওয়ার সেতো চলে গেছে। এজন্য মামলাগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি ব্যবস্থা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করা।

এ ক্ষেত্রে সরকার বা রাষ্ট্র কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে?

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারঘোষিত নীতিমালায় প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মনিটরিং সেল গঠন করার কথা রয়েছে,  যা এখনো করা হয়নি। শুধু জাতীয় পর্যায়ে সেল গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানো যাবে না আর যদি পাঠায় তাহলে সেটা নিবন্ধন করতে হবে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এবং আর এক কপি যেখানে পাঠাচ্ছে সেখানে থাকতে হবে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা বলতেই পারে না কোথায় পাঠানো হচ্ছে। যেগুলো আপনাদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় বা প্রতিবেশীর মাধ্যমে প্রকাশিত হয় আমরাতো সেগুলোই জানি।

গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা বা একটি আইনের জন্য আপনারা দীর্ঘদিন ধরে বলছেন এর জন্য একটা উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে এবং তার জন্য সরকার একটি খসড়াও অনুমোদ করেছে, এর ফলে আপনারা কী কোনো পরিবর্তন এখনো দেখেছেন?

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটু উন্নতি হয়েছে, কারণ জাতীয় পর্যায়ে সরকার মনিটরিং সেল গঠন করেছে। আর এখন সরকার একটি নীতিমালা তৈরি করেছে এই দুইটি উন্নতি হয়েছে। ঘরে ঘরে শিশুদের যে নির্যাতন হচ্ছে আনুপাতিক হারে সে তুলনায় এটি কোনো কাজই নয়।

এই নির্যাতনগুলো কেন ঘটে এবং এর  জন্য কি মানসিকতা দায়ী?

জবাবে তিনি বলেন, এর কোনো সঠিক বিচার হচ্ছে না। আর কেউ গিয়ে যে বলবে আপনার বাসায় যে গৃহকর্মী আছে তাদের সাথে একটু কথা বলবো, এই রকমও কেউ করে না। আর এখন সব বাসায় মাদকাসক্তি এবং আরও অনেক খারাপ কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে এই গৃহকর্মীরা।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়