শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৫৪ সকাল
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খারাপ বছর গেছে : ড. আইনুন নিশাত

মারুফ হাসান নাসিম : ২০১৭ সাল একটা খারাপ বছর গেছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। চৈত্র মাসে বৃষ্টি হয়েছে আষাঢ় মাসের মতো। এপ্রিল মাসে প্রচ- বন্যা হয়েছে। এতে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এই জমির উপর যারা নির্ভরশীল, যারা জমির মালিক বা চাষি তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার ধারণা, তারা সুনামগঞ্জ থেকে বা আক্রান্ত এলাকা থেকে অন্যত্র দেশান্তর হয়েছে। জুলাই মাসে বন্যা হয়েছে যাতে আউস ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। অক্টোবর-নভেম্বরে বন্যা হয়েছে নিচু জায়গায়, সেখানে মানুষ পানিবন্দি ছিল। ডিসেম্বর মাসে বৃষ্টি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়েছে। বৃষ্টির পানির চাপে পড়ে আমন ধান বহু জায়গাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিখ্যাত পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত ২০১৭ সালের জলবায়ুর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের অর্থনীতেকে এই সব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, ধান কাটা হয়েছে কিন্তু ঘরে তোলা হয়নি, শুকানোর জন্য বাইরে রাখা ছিল সেটা ক্ষতিগস্ত হয়েছে। সেই ক্ষতির পরিমাণ এখনো হিসাব করা হয়নি। যেখানে প্রচুর ধান হতো তা হয়নি। ডিসেম্বরে বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে বহু জায়গায় আলু চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর বাইরে আমরা জুন-জুলাই মাসে দেখছি, পার্বত্য চট্টগ্রামে তুমুল বৃষ্টির কারণে প্রচুর সমস্যা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকায় প্রচ- বৃষ্টির কারণে আমরা দেখেছি, শান্তিনগরে মানুষকে উদ্ধার করার জন্য ফায়ার বিগ্রেডকে নৌকা নামাতে হয়েছে। আমরা লক্ষ করেছি, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানির উচ্চতা সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ছিল। পদ্মার পানির উচ্চতাও বেশি ছিল। কিন্তু বড় বন্যার হাত থেকে আমরা বেঁচে গেছি। নদী ভাঙ্গন বেড়েছে। অন্ততপক্ষে তিনটা বড় সাইক্লোন আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল ঘেঁসে গেছে, যার প্রভাবে নোনা পানি আরও ভেতরে ঢুকেছে। রোগ হিসেবে চিকনগুনিয়ার আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। এই বছর বড় একটা কাজ হয়েছে, হাজারিবাগ থেকে ছোট ছোট ট্যানারি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সাভারে। তবে ট্যানারির বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা এখনো হয়নি এবং অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার হচ্ছে, চামড়া ব্যবহারে যে লবণ ব্যবহার হয় এটা আমাদের দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা ভুলে গিয়েছিলেন। এভাবে ভুল করলেন কীভাবে তারা, সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু বুড়িগঙ্গার কিছুটা উন্নতি হলেও ধলেশ্বরী পুরোপুরি নষ্ট হওর্য়া উপক্রম হয়েছে। সব মিলিয়ে, ২০১৭ সাল বাংলাদেশ পরিবেশে একটা বিপর্যয়ময় সময় পার করেছে ।

সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়