মাহফুয আহমদ : সাম্প্রতিক গবেষকদের কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা লক্ষ্য করলে প্রতিয়মান হয় যে, যেগুলো হাজারও বছর পূর্বে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) তাঁর উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছিলেন এবং আজ অবধি তাঁর সেই বাণীগুলো হাদিসগ্রন্থগুলোতে বিশুদ্ধ ও বিশ্বস্ত সূত্রে বর্ণিত ও সংরক্ষিত রয়েছে। নিম্নে কিছু নমুনা পেশ করা হলো।
এক. প্রসিদ্ধ ডেইলি মেইল একটি জরুরি প্রতিবেদনে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে, আধুনিককালে পশ্চিমা বিশ্বে টয়লেটে পরিচ্ছন্নতার জন্য যে টিস্যু ব্যবহার করা হয় তা আদৌ যথেষ্ট নয়। বরং টিস্যু ব্যবহারের পরও যথাস্থানে মল থেকে যায়; এথেকে স্বাস্থ্য জনিত সমস্যা ও ইনফেকশন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।
দি বিগ নেসেসিটির লেখক রোজ জর্জ বলেন, 'আমি মনে করি এটা এমন বিভ্রান্তিকর ব্যাপার যে, লক্ষ লক্ষ মানুষ নোংরা পদার্থ সাথে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। টয়লেট পেপার এটি সরাতে পারে না। আরও অনেক বিজ্ঞজনের মন্তব্য উল্লেখ করত এর সমাধানকল্পে ওয়াইপ বা তরল মিশ্রিত টিস্যু ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। মানে স্বাস্থ্য রক্ষা এবংপূর্ণরূপে পরিচ্ছন্নতা অর্জনের লক্ষ্যে পানি মিশ্রণের বিকল্প নেই।
মূলত এটাই ইসলামের শিক্ষা। পানিশূন্য আরবের মরুভ‚মিতে যে ইসলামের নবী (সা.) এর জন্ম ; সেই তিনি আজ থেকে হাজার বছর আগেই মানবজাতিকে এই থিওরি পেশ করে গেছেন। ঢিলা ব্যবহারের সঙ্গে পানিও ব্যবহার করতে বলেছেন এবং এমন উত্তম অভ্যাসের কথা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সপ্রশংস উল্লেখ করেছেন।
তার মানে পাশ্চাত্যের আধুনিকতা মূলত ইসলামের শিক্ষা থেকেই ধারকৃত। তবে ওরা কখনও তা বোঝাতে দেবে না। সেজন্য আলোচিত বিষয়েও সরাসরি পানির কথা না বলে তরল মিশ্রিত টিস্যু বা ওয়াইপ ব্যবহারের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দুই. 'ডেইলি মেট্রো'-তে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'অন্তঃসত্ত¡া নারী যদি ব্যাক বা পিঠের ওপর ভর করে ঘুমান তবে তার সন্তান মৃত জন্ম হওয়ার কিংবা নিদেনপক্ষে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। অতএব ওই প্রতিবেদনে গবেষকরা অন্তঃসত্ত¡া নারীগণকে কাত হয়ে ঘুমাতে পরামর্শ দিয়েছেন। টমি নামক একটি দাতা সংস্থার ব্যবস্থাপনায় প্রফেসর আলেকজান্ডার হিজেল এর নেতৃত্বে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।'
সুবহানাল্লাহ! এটা কিন্তু ইসলামেরই শিক্ষা। ইসলামি শরিয়তে ঘুমানোর সময় ডান কাতে হয়ে শোয়া সুন্নাত। উপুড় হয়ে শয়ন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এভাবে শয়ন করাকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না। (বোখারি: ৬৩১৪)
আশ্চর্যের বিষয় হলো, আধুনিক বিশ্বে মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড আর ডলার ব্যয় করে রিসার্চ বা গবেষণা পরিচালনা করে যে বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে গবেষকগণ উপনীত হচ্ছেন বা যা আবিষ্কার করেছেন- সেই বিষয়টা খুবই সহজে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সা.) হাজারো বছর পূর্বে আমাদের জানিয়ে দিয়ে গেছেন। তখন তো আর এই বিজ্ঞান ছিল না। হ্যাঁ এই বিজ্ঞান ছিল না, তবে এই বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের জ্ঞান দাতা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে নবীর কানেকশন ছিল বলেই তিনি এসব অনায়াসে বলে যেতে পেরেছেন। সুতরাং ইসলাম ও ইসলামের নবীর সত্যতা প্রশ্নাতীত। আধুনিক বিজ্ঞান সেই সত্য ধীরে ধীরে আরও উন্মোচন করে দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :