ডেস্ক রিপোর্ট : গণতন্ত্রে তো এমনটাই হওয়া উচিত। আইনের আওতামুক্ত নন কেউই। হোক সে খোদ প্রধানমন্ত্রী। আর আইনের লঙ্ঘন ছোট হোক বা বড়। শাস্তি নিশ্চিত হওয়া উচিত। লঙ্ঘনকারী যেই হোক না কেন।
হওয়া উচিত বটে। তবে, আমরা ঠিক এমন নজিরের সঙ্গে পরিচিত নই। বলিষ্ঠ গণতন্ত্রের নাগরিকদের কাছে এটা স্বাভাবিক হলেও, আমাদের কাছে এটা আকাশকুসুম চিন্তা বৈ কিছু না। ঘটনায় যাওয়া যাক- গেল সপ্তাহে সামান্য এক ভুলের জন্য জরিমানা করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলকে। ভুলটাও তিনি অজ্ঞাতে করেছিলেন। ফলে গুনতে হচ্ছে ২৫০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। পরে যখন জানতে পেরেছেন, নিজের ভুলটা স্বীকার করেছেন। বলেছেন, ‘আমার শিক্ষা হয়েছে। আর এমনটা হবে না।’
এটাও তো কাঙ্ক্ষিত সেই গণতন্ত্রেরই রীতি। অপরাধটা ছিল ডিঙ্গি নৌকায় লাইফজ্যাকেট না পরা। সিডনিতে অবকাশ যাপন করছিলেন নিজের বাড়িতে। হারবার পয়েন্টের পাশে। জেটি থেকে ডিঙ্গি নৌকায় উঠে মিটার বিশেক দূরত্ব গেছেন। সেটাও একেবারে তীর ঘেঁষে। কিন্তু লাইফজ্যাকেট পরা ছিল না টার্নবুলের যা নিউ সাউথ ওয়েলসের সমুদ্র নীতিমালার লঙ্ঘন। পরের দিন অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে লাইফজ্যাকেট ছাড়া ডিঙ্গি চালনারত প্রধানমন্ত্রীর ছবি আসে। তদন্তে লেগে যায় দেশটির ম্যারিটাইম সার্ভিস। শুক্রবার তারা জানায় প্রধানমন্ত্রীকে ২৫০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস ম্যারিটাইমের নির্বাহী পরিচালক অ্যাঙ্গাস মিচেল জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, জরিমানার নোটিশ পাওয়া মাত্র তা পরিশোধ করা হবে।
মি. মিচেল বলেন, ছুটির এই মৌসুমে লাইফজ্যাকেট পরিধান করার বিষয়টি সবাইকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য এটা সময়োচিত একটি ঘটনা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রত্যেকে এই ছুটির মৌসুম উপভোগ করুক এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরুক, পানিপথে লাইফজ্যাকেট পরুক- এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল ক্ষমা চেয়ে বলেন, বছরের এ সময়টাতে পানিপথে নিরাপদ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। নিউ সাউথ ওয়েলস ম্যারিটাইম কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়মকানুন ব্যাখ্যা করেছেন। টার্নবুল বলেন, ‘আমার শিক্ষা হয়েছে। পরবর্তীতে আমার ডিঙ্গি নৌকায় তীরের যত কাছেই থাকি না কেন লাইফজ্যাকেট সবসময় পরে থাকবো।’ মানবজমিন
আপনার মতামত লিখুন :