শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:০৩ সকাল
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বাংলাদেশ অচল করে দেওয়া হবে’

তারেক:  দুর্নীতির মামলার রায়ই ২০১৮ তে বাংলাদেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট হবে। এমনটাই মনে করছে আওয়ামী লীগ, বিএনপির শীর্ষ নেতারা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়া দন্ডিত হবার সঙ্গে সঙ্গে সারা বাংলাদেশ অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে দলটি। এই দুই মামলায় দন্ডিত হলেই বিএনপি সর্বাত্মক আন্দোলনে যাবে। সেই আন্দোলনের কৌশল ও প্রস্তুতিও বিএনপি চূড়ান্ত করেছে। আন্দোলনের ধরন হবে সহিংস। এমনকি অসহযোগ আন্দোলনের মতো কর্মসূচিও দিতে পারে বিএনপি।

তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, রায় আদালতের বিষয়। রায় কী হবে আমরা জানি না। কিন্ত রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন মানে হলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন। আওয়ামী লীগের অন্য একজন নেতা মনে করেন, বিএনপির আন্দোলনের হুমকি স্রেফ আওয়াজ। আন্দোলনের শক্তি বিএনপির নেই। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়কে দিয়েই রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠতে পারে।

কিছুদিন ধরেই বেগম জিয়ার আদালত থেকে ফেরার পথে সহিংস ঘটনা ঘটছে। এটা আন্দোলনের ড্রেস রিহার্সেল বলে মনে করছেন রাজনৈতি বিশ্লেষকরা। বিএনপির আন্দোলনের এবারের কৌশল ২০১৪’র মতো হবে না, হবে আচমকা গেরিলা কায়দায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে ঢাকাকে অবরুদ্ধ করাই হলো আন্দোলনের মূল পরিকল্পনা।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম, দুর্নীতি গুম ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইত্যাদি কারণে দেশের মানুষ এমনিতেই ক্ষুব্ধ। দেশে গণঅভ্যুত্থান পরিস্থিতিও বিরাজ করছে বলে বিএনপির অনেক নেতার দাবি। তাঁদের মতে, এই রায় হবে বারুদের স্তুপে দেয়াশলাই জ্বালানোর মতো ঘটনা। এই রায়ের মধ্য দিয়েই সরকার পতনের পয়েন্ট অব নো রিটার্নে যাবে বিএনপি।আর এই রায়ে যদি বেগম জিয়া দণ্ডিত না হন, তাঁকে যদি খালাস দেওয়া হয় তাহলে এই রায়কে ঐতিহাসিক বিজয় আখ্যা দিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটবে বিএনপি। এমনকি চ্যালেঞ্জ হিসেবে শেখ হাসিনার অধীনেও নির্বাচনে যেতে পারে দলটি।

তাই এই রায় কি রাজনৈতিক দর কষাকষির হাতিয়ার হবে কিনা সে প্রশ্ন রাজনেতিক বিশ্লেষকরা করছেন। হঠাৎ করেই বেগম জিয়ার আত্মবিশ্বাস এই সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই রায় তাই নির্বাচনী সমঝোতার সোপান হবে নাকি সহিংসতার সূচনা হবে তা বোঝা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।

তবে রায় আদালতের নিজস্ব এখতিয়ারভূত বিষয় বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। সরকারের একাধিক নেতা বলছেন, রায়ের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক খোঁজা অর্থহীন। বাংলা ইনসাইডার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়