শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘরের ভেতরে টাকশাল, লাখ রুপির দাম ১২ হাজার

নুরুল আমিন হাসান : নিজের ঘরের ভেতরই টাকশাল বানিয়ে টাকা তৈরী করতেন রিয়াকত আলী। আর তৈরী করা লাখ রুপির মূল্য দেড় লাখ টাকা হলেও তা বিক্রি করতেন ১২ হাজার টাকায়। যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে চলে যেত ভারতের বাজারে। কিন্তু এসব রূপি ছিল জাল। এমনভাবইে ১৫ বছর যাবত ধরে নিজ ঘরের ভেতরে টাকা তৈরী করে আসছিলেন তিনি। আর টাকা তৈরীর কৌশলটি তিনি ভালো ভাবেই রপ্ত করে নিয়েছিলেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইমরানুল হাসান ।

এর আগে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে প্রথমে লিয়াকতকে ও পরবর্তীতে তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। লিয়াকত ও গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেফতারকালে তাদের হেফাজত থেকে ১০ লাখ জাল ভারতীয় রুপি, রুপি তৈরির বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ও রং জব্দ করা হয়।

সম্মেরনে তিনি বলেন, লিয়াকত আলী জাল নোট তৈরির কৌশল জব্দ করেন ছগির মাস্টার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে। তাঁর গুরু ছগির মাস্টার ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার ধসের পর আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ হন। তখন থেকেই মাষ্টারের সহযোগী ছিলেন লিয়াকত। অবশেষে গুরুর কাছ থেকে নেওয়া দীক্ষায় ১০ বছর ধরে তিনি নিজেই জাল নোট তৈরি করে আসছিলেন।

সিও বলেন, ‘লিয়াকত যে বাসায় ভাড়া থাকতেন, সেখানেই এই নোট তৈরি করতেন। প্রথম দিকে বাংলাদেশের জাল টাকা তৈরি করতেন তিনি। তবে জাল টাকার নোট তৈরি হওয়ায় ধরা পড়ার শঙ্কা থাকে বেশি। তাই ভারতীয় জাল রুপির নোট তৈরিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন লিয়াকত। তিনি ঘরের ভেতর ভারতের নতুন ২০০০ ও ৫০০ রুপির নোট তৈরি করতেন খুব নিখুঁতভাবে। জাল নোট তৈরির জন্য লিয়াকতকে বিদেশি উন্নত মানের রঙিন কালি সরবরাহ করতেন জাহাঙ্গীর।

লে. কর্নেল ইমরানুল হাসান বলেন, লিয়াকত প্রতি মাসে ৫০ লাখ থেকে ৬০ লাখ রুপির জাল নোট তৈরি করতেন। এক লাখ রুপির জাল নোট লিয়াকত বাংলাদেশের মুদ্রায় ১২ হাজার টাকায় তাঁর সরবরাহকারীদের কাছ বিক্রি করতেন। তাঁর এই সরবরাহকারীরা এসব নোট আবার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের কাছে বিক্রি করতেন। অনেকে আবার সীমান্তবর্তী এলাকায় সরবরাহ করতেন। যা তিনি ১০ বছর ধরে সে নিজেই অবৈধ জাল মুদ্রা তৈরির একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। আর জাল নোট তৈরির অপরাধে লিয়াকতের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলাও রয়েছে।

লিয়াকতের জাল মুদ্রা তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল সম্পর্কে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, লিয়াকত তার বাসাতেই ডাইস ও প্রিন্টার বসিয়ে জাল মুদ্রা তৈরি করতো। এমনকি তার বাসাতেই মুদ্রায় থাকা বিশেষ নিরাপত্তা সুতাও সেট করতো। মুদ্রা তৈরি হয়ে গেলে সে প্রতি একলাখ ভারতীয় রুপির বান্ডিল সহযোগীদের কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। তার সহযোগীরা সেই রুপি আবার ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রি করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। এরপর খুচরা ব্যবসায়ীরা একটি দুটি করে জাল নোট সীমান্তবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। এছাড়া, রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের দোকানে গিয়ে আসল ভারতীয় রুপির সঙ্গে এসব জাল রুপি ঢুকিয়ে দিয়ে টাকায় রূপান্তর করে নেয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘লিয়াকত ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু নামও পাওয়া গেছে। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের শনাক্তের পর গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়