শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:২১ সকাল
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একমাত্র যারা আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করতে পারবে

ওমর শাহ : ‘কে সেই ব্যক্তি? যে তাঁর (আল্লাহর) অনুমতি ব্যতিত তাঁর সমীপে কারো জন্য সুপারিশ করতে পারে।’ আয়াতুল কুরসির পঞ্চম অংশে এভাবেই আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার মানুষকে তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্যের চ্যালেঞ্জ ছূড়ে দিয়েছেন।

আয়াতের আগের অংশে আল্লাহ তাআলা নিজেকে আল্লাহ তাআলা নিজেকে আসমান-জমিনের একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। পরবর্তী অংশে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন; এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যে তাঁর অনুমতি ব্যক্তি কারো ব্যাপারো কোনো ধরণের সুপারিশ করতে পারে।
আলোচ্য আয়াতাংশটিও আয়াতুল কুরসির পঞ্চম বক্তব্য। এ বক্তব্যে আল্লাহ দুনিয়ার আগের এবং পরের সবার ব্যাপারেই এ কঠিন ঘোষণা দিয়েছেন যে, আল্লাহর অনুমতি ব্যতিত কেউ কারো ব্যাপারে তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারবে না।

আল্লাহ তাআলা যেহেতু যাবতীয় সৃষ্টির স্রষ্টা। আর কোনো সৃষ্টিই তার চেয়ে বড় নয়। তাই কোনো ব্যক্তিই তার কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন বা খবরদারী করার অধিকার রাখে না।
হজরত ঈসা আলাইসি সালাম কর্তৃক সুপারিশ লাভ খ্রিস্টানদের একটি প্রবল বিশ্বাস। আবার বর্তমান সময়ে কিছু মানুষ এ আকিদা পোষণ করে যে, পীর বাবা, দয়াল বাবা, খাজা বাবা বা আধ্যাত্মিক গুরুই পরকালে তার অনুসারীকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে। এ আয়াতাংশে সে বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে অবকাশ রেখেছেন যে, তাঁর প্রিয় হাবিব বিশ্বমানবতার মুক্তির কাণ্ডারি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সুপারিশের অনুমতি দান করবেন এবং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ কবুলও করবেন। হাশরের ময়দানে সবচেয়ে বড় শাফায়াতকারী হবে প্রিয়নবি নিজেই। (তাফসিরে জালালাইন) তাছাড়া হাদিসে পাকে প্রিয়নবি কর্তৃক তাঁর উম্মতের জন্য সুপারিশের অনেক ঘোষণাও রয়েছে।
“তবে আল্লাহ তাআলার কিছু খাস বান্দা রয়েছে, যারা তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে পারবেন। অন্যথায় নয়। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হাশরের ময়দানে সর্ব প্রথম আমি সমস্ত উম্মতের জন্য সুপারিশ করবো। একে ‘মাকামে মাহমুদ’ বলা হয়। যা প্রিয়নবির জন্য খাস; অন্যের জন্য নয়।” (তাফসিরে মারেফুল কুরআন) আল্লাহ তাআলার শান ও মানের ওপর অগাধ আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জনকারী ব্যক্তিই দুনিয়া ও পরকালে আয়াতুল কুরসির ফজিলত ও মর্যাদা লাভ করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়