মো. শহিদুল ইসলাম,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বিজয় দিবসের মঞ্চে হামলার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. সৈয়দা নওশীন পর্ণিনীর জারি করা আদেশ দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) মোতাবেক জাহাঙ্গীর আলমকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের কথা বলা হয়েছে।

জানাগেছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় এজে চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি এলাকার সকল জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে চিঠি দিয়ে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান।
একইভাবে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠানের আপ্যায়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকেও তিনি চিঠি দেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি দাবি করে অনুষ্ঠানের দিন অনুসারীদের নিয়ে মিছিল সহকারে বিজয় দিবসের মঞ্চে ওঠে হাতাহাতি শুরু করেন জাহাঙ্গীর আলম।

এসময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা ও এক শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি একই ঘটনায় বিজয় দিবসের শারীরিক কসরত প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন শিশু ও আহত হয়।

হামলা চালাকালে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার পাঁচদিন পর ২০ ডিসেম্বর এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০জনকে আসামী করে মামলা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সহকারী দীপু চাকমা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সেই ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিজেন ব্যানার্জিকে ওএসডি করা হলেও পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করে নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।